সুনামগঞ্জ মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা তাদের ন্যায্য দাবি আদায়ে রাস্তায় নেমেছেন। নিয়মিত ওয়ার্ড ক্লাস না হওয়া এবং হাসপাতালের সেবা সঠিকভাবে চালু না করায় তারা অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস বর্জন ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন। গত রবিবার সন্ধ্যায় এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তারা এই সিদ্ধান্ত জানান।
শিক্ষার্থীদের বক্তব্য, "আমরা মাত্র ৫ মিনিট সময় চেয়েছিলাম, কিন্তু আমাদের কথা শোনার বদলে লাঠিচার্জ করা হয়েছে। আমরা তো বেতন বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলন করছি না, আমরা চাইছি ভালোভাবে পড়াশোনা করে দক্ষ ডাক্তার হতে পারি।" তাদের অভিযোগ, গত ১৫ দিন ধরে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করলেও স্বাস্থ্য বিভাগ বা প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কেউই তাদের দাবির প্রতি সঠিকভাবে সাড়া দেননি।
একজন শিক্ষার্থী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, "সাধারণ মানুষ আমাদের পাশে আছে, কিন্তু কর্তৃপক্ষ আমাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তায় ফেলেছে। আমরা চাই সরকার যেন হাসপাতাল চালু ও ওয়ার্ড ক্লাস নিশ্চিত করতে একটি স্পষ্ট রোডম্যাপ দেয়।"
আন্দোলনকারীরা সোমবারও ক্লাস বর্জন করে কলেজ ক্যাম্পাসে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। তারা শপথ নিয়েছেন, তাদের দাবি না মানা পর্যন্ত এই আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। স্থানীয়রা জানান, হাসপাতালের সেবা বন্ধ থাকায় সাধারণ রোগীরা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
এদিকে, শিক্ষার্থীদের ওপর সেনাবাহিনীর হামলার অভিযোগ উঠেছে, যা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ দেখা যাচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, ভবিষ্যৎ ডাক্তারদের সাথে এমন আচরণ কতটা যুক্তিসঙ্গত?
#সুনামগঞ্জ_মেডিকেল_আন্দোলন #ওয়ার্ড_ক্লাস_চাই #হাসপাতাল_চালু_করো #শিক্ষার্থীদের_দাবি #মেডিকেল_শিক্ষা_সংকট


