বাগেরহাটের শরণখোলায় মায়ের সঙ্গে তর্কের জেরে মর্মান্তিক আত্মহত্যা করেছে মাত্র ১২ বছর বয়সী ইয়ামনি। সৌদি প্রবাসী ইলিয়াস হাওলাদারের মেয়ে ও নুরানী মাদ্রাসার চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী ইয়ামনি মঙ্গলবার সকালে চালের মধ্যে রাখা বিষ ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহননের পথ বেছে নেয়।

ঘটনার দিন সকালে ইয়ামনি মায়ের মোবাইল ফোন নিয়ে খেলতে চাইলে মা মরিয়ম বেগম তাকে বারণ করেন। এ নিয়ে দুজনের তর্ক হয়। কিছুক্ষণ পর মা বাড়ির বাইরে গেলে ইয়ামনি বিষ ট্যাবলেট খেয়ে ফেলে। মা ফিরে এসে তাকে ছটফট করতে দেখে শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান, কিন্তু চিকিৎসকরা তাকে বাঁচাতে পারেননি।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডা. আশফাক হোসেন বলেন, "চালের মধ্যে রাখা এই ট্যাবলেটে অ্যালুমিনিয়াম ফসফাইড থাকে যা অত্যন্ত বিষাক্ত। সামান্য পরিমাণেও এটি প্রাণঘাতী হতে পারে।"

শরণখোলা থানার ওসি মো. শহিদুল্লাহ জানান, পরিবারের কেউ অভিযোগ না করায় ইউডি মামলা করে লাশ মাকে ফেরত দেওয়া হয়েছে।

এই ঘটনা শিশু মনস্তত্ত্ব বোঝা ও তাদের সঙ্গে সঠিকভাবে যোগাযোগ করার গুরুত্ব ফুটিয়ে তোলে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কৈশোরকালীন আবেগ নিয়ন্ত্রণে অভিভাবকদের আরও সচেতন হওয়া প্রয়োজন।

#শরণখোলা_ট্র্যাজেডি #শিশু_আত্মহত্যা #মায়ের_অভিমান #বিষ_ট্যাবলেট #সচেতনতা_প্রয়োজন

news