আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ আজ অনুষ্ঠিত হবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে সপ্তম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ। বিচারিক প্যানেল নেতৃত্ব দিচ্ছেন চেয়ারম্যান বিচারপতি মো: গোলাম মর্তূজা মজুমদার।

গত বছরের জুলাই-আগস্টের আন্দোলনের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় এ সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ২০ আগস্ট ষষ্ঠ দিনের সাক্ষ্য-জেরা শেষে দু’জন চিকিৎসক ও দুই অন্যান্য সাক্ষী জবানবন্দি দিয়েছেন।

পূর্বের সাক্ষীদের সংক্ষিপ্ত বিবরণ

২০ আগস্ট: মাহফুজুর রহমান (সহযোগী অধ্যাপক, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস), নার্স শাহনাজ পারভীন, ডা. হাসানুল বান্না (ইবনে সিনা হাসপাতাল) ও শহীদ শেখ মেহেদী হাসান জুনায়েদের মা সোনিয়া জামাল।

১৮ আগস্ট: শহীদ আস-সাবুরের বাবা মো: এনাব নাজেজ জাকি, শহীদ ইমাম হাসান তাইমের ভাই রবিউল আউয়াল, রাজশাহীর প্রত্যক্ষদর্শী জসিম উদ্দিন।

১৭ আগস্ট: সবজি বিক্রেতা আবদুস সামাদ, মিজান মিয়া, শিক্ষার্থী নাঈম শিকদার, শহীদ সাজ্জাদ হোসেন সজলের মা শাহীনা বেগম।

৬ আগস্ট: প্রত্যক্ষদর্শী রিনা মুর্মু ও সাংবাদিক একেএম মঈনুল হক।

৪ আগস্ট: পঙ্গু শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল ইমরান ও দিনমজুর চোখ হারানো পারভীন।

৩ আগস্ট: আন্দোলনে আহত খোকন চন্দ্র বর্মণ প্রথম সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দিয়েছেন।

মামলার বিবরণ

অভিযোগ: মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি অভিযোগ।

আনুষ্ঠানিক অভিযোগের পাতার সংখ্যা: ৮,৭৪৭ পৃষ্ঠা (তথ্যসূত্র: ২,০১৮, জব্দতালিকা ও প্রমাণাদি: ৪,০০৫, শহীদদের তালিকা: ২,৭২৪)।

সাক্ষী: মোট ৮১ জন।

অভিযোগের তদন্ত প্রতিবেদন: ১২ মে চিফ প্রসিকিউটরের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে।

ট্রাইব্যুনাল সূত্রে জানা গেছে, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন নিজ দায় স্বীকার করে রাজসাক্ষী হয়েছেন। আজকের সপ্তম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণে নতুন গুরুত্বপূর্ণ জবানবন্দি আশা করা হচ্ছে।

 

news