জনপ্রিয় কনটেন্ট ক্রিয়েটর ও ইউটিউবার তৌহিদ আফ্রিদিকে অবশেষে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি। রোববার (২৪ আগস্ট) বরিশাল মহানগরের বাংলাবাজার এলাকায় বিশেষ অভিযানে তাঁকে আটক করা হয়।
সিআইডির গণমাধ্যম শাখার বিশেষ পুলিশ সুপার জসিম উদ্দীন গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গত জুলাই মাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানায় দায়ের হওয়া হত্যা মামলার ১১ নম্বর আসামি হিসেবে তৌহিদ আফ্রিদিকে আটক করা হয়েছে। বর্তমানে তাঁকে ঢাকায় আনার প্রক্রিয়া চলছে।
এই একই মামলায় আগেই গ্রেপ্তার হয়েছেন তাঁর বাবা, মাই টিভির চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন সাথী। তাঁকে ১৭ আগস্ট আটক করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। মামলায় মোট ২৫ জনকে নামীয় আসামি করা হয়েছে।
প্রধান আসামি করা হয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। দ্বিতীয় আসামি সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং তৃতীয় আসামি সাবেক আইজিপি আব্দুল্লাহ আল–মামুন। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও প্রায় দেড়শ জনকে আসামি করা হয়েছে।
তৌহিদ আফ্রিদি একসময় ইউটিউব ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভ্লগ, ভ্রমণ এবং কনটেন্টের মাধ্যমে তরুণদের মধ্যে বিপুল জনপ্রিয়তা পান। কিন্তু জনপ্রিয়তার আড়ালে তাঁর নাম বারবার বিতর্কে এসেছে—কখনো ভুয়া নাটক সাজিয়ে ভিউ বাড়ানো, কখনো বেপরোয়া কর্মকাণ্ড দিয়ে আলোচনায় থাকা। এবার সরাসরি হত্যা মামলায় নাম আসায় তাঁর ভক্তরাও স্তম্ভিত।
সমালোচকদের অভিযোগ, আফ্রিদি সবসময় আলোচনায় থাকতে বিতর্ককেই হাতিয়ার করেছেন। ভুয়া আবেগ আর নাটকীয় ভিডিও বানিয়ে তরুণদের ভুল বার্তা দিয়েছেন। অথচ নিজেকে সবসময় “জনপ্রিয় আইডল” হিসেবে প্রচার করেছেন। এবার হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়ার ঘটনা প্রমাণ করেছে—জনপ্রিয়তা দিয়ে সবকিছু ঢাকা যায় না।
যুবসমাজের অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে লিখছেন—যে ব্যক্তি তরুণদের বিনোদনের নামে ভুল পথে ঠেলে দিয়েছে, সে এখন আসামির কাঠগড়ায় দাঁড়ানো একেবারেই প্রাপ্য।


