রাজশাহীর দুর্গাপুরে আলোচিত ওয়াজেদ আলী হত্যা মামলার অন্যতম প্রধান আসামি মো. ফয়সাল (২৬)কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৫। পুঠিয়া থানার আগলা এলাকা থেকে ২৫ আগস্ট রাত দেড়টার দিকে বিশেষ অভিযানে তাকে আটক করা হয়। এ হত্যাকাণ্ডে ফয়সালসহ অন্তত ৩০-৩৫ জন অংশ নিয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছে।

কিভাবে শুরু হলো রক্তক্ষয়ী দ্বন্দ্ব?

ঘটনার সূত্রপাত হয় গত ১৪ মে। সে সময় মারামারিতে হাসিবুর নামে একজনের মৃত্যু হয়, আর সেই হত্যা মামলার আসামি ছিলেন ওয়াজেদ আলী। জামিনে মুক্তি পেয়ে তিনি এলাকায় ফেরেন।

কিন্তু ১০ আগস্ট সকালে নিজের ছেলেকে নিয়ে পান বরজে কাজ করার সময় ফয়সালসহ কয়েক ডজন লোক লাঠি, লোহার রড ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে ওয়াজেদ আলীর ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।

প্রাণঘাতী হামলার বর্ণনা

ওয়াজেদ আলীর মাথা, কব্জি ও পায়ে গুরুতর আঘাত লাগে। তাকে বাঁচাতে গিয়ে তার স্ত্রী ও ছেলে-ও আহত হন। স্থানীয়রা দ্রুত তাদের উদ্ধার করে দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন, পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। তবে দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে চিকিৎসক ওয়াজেদ আলীকে মৃত ঘোষণা করেন।

র‌্যাবের অভিযান ও গ্রেফতার

এই হত্যাকাণ্ডে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। নিহতের স্ত্রী দুর্গাপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর থেকেই র‌্যাব আসামিদের ধরতে অভিযান শুরু করে। ঘটনার ১২ ঘণ্টার মধ্যেই নাটোর থেকে দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।

এরপর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে অবশেষে ২৫ আগস্ট রাতে প্রধান আসামি ফয়সালকে আটক করে র‌্যাব-৫। তাকে পরে দুর্গাপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

র‌্যাব জানিয়েছে, এই মামলার অন্যান্য পলাতক আসামিদের ধরতে তাদের গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রয়েছে।

✅ প্রতিশোধের জেরে ঘটে যাওয়া এই হত্যাকাণ্ড রাজশাহীর দুর্গাপুর এলাকায় আতঙ্ক তৈরি করেছে। স্থানীয়রা দ্রুত আসামিদের গ্রেফতার ও কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

 

news