শেরপুর কারাগারে মিথ্যা মামলায় শ্রীবরদীর কৃষক, জমির ধান কেটে দিলেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা
শেরপুর জেলার সীমান্তবর্তী উপজেলা শ্রীবরদীতে জানু মিয়া নামে এক মজলুম কৃষকের দেড় একর জমির ধান কেটে দিয়েছেন বিএনপি ও অঙ্গদলের শতাধিক নেতা-কর্মী। শনিবার (২৬ নভেম্বর) দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উপজেলার রানী শিমুল ইউনিয়নের চক্রপুর গ্রামে ধান কেটে দেওয়ার এ ঘটনা ঘটেছে।
রানী শিমুল ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কামারুজ্জামান লাকু জানান, গত ১৮ নভেম্বর শ্রীবরদীতে অনুষ্ঠিত তাঁতী দলের কর্মী সমাবেশ শেষে বাড়ি ফেরার পথে পুলিশের মিথ্যা মামলায় আটক হন কৃষক জানু মিয়া। তিনি বিএনপির একজন কর্মী ছিলেন। বর্তমানে তিনি শেরপুর জেলা কারাগারে বন্দী রয়েছেন। এদিকে দরিদ্র জানু মিয়ার পরিবারের পক্ষে শ্রমিকের মজুরি দিয়ে এ মুহূর্তে ধান কাটা সম্ভব হয়ে উঠছিল না। ফলে পাকা ধান জমিতে নষ্ট হবার উপক্রম হচ্ছিল। এই ধানটুকুই কৃষকের সারা বছর চলার অবলম্বন ছিল। পাকা ধান কাটতে না পেরে ওই কৃষক পরিবারের সদস্যরা হতাশা ও অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে গিয়েছিল। এই সংবাদ শুনে জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মো. মাহমুদুল হক রুবেল স্থানীয় নেতা-কর্মীদের ওই মজলুম কৃষকের ধান কেটে দেয়ার ব্যবস্থা করার জন্য বলেন।
উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব মো. ইখলাছুর রহমান লিটন জানান, আমাদের কর্মী জানু মিয়া গরিব কৃষক। তিনি পুলিশের দায়ের করা মিথ্যা মামলায় জেলা কারাগারে অন্তরীন থাকায় তার জমিতে পাকা ধান কাটতে পারছিলনা। আমাদের নেতা সাবেক সংসদ সদস্য মো. মাহমুদুল হক রুবেলের নির্দেশনায় স্থানীয় উপজেলা বিএনপি, যুবদল ও কৃষক দলের নেতা-কর্মীদের সহযোগিতায় জানু মিয়ার দেড় একর জমির পাকা ধান স্বেচ্ছা শ্রমের ভিত্তিতে কেটে দেওয়া হয়েছে।