বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হলো একক আন্তর্জাতিক শিল্প প্রদর্শনী, যার আয়োজন করে বাংলাদেশের শীর্ষ গ্লোবাল ইলেকট্রনিক্স প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন। তিন দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক এ প্রদর্শনীর সমাপনী দিন ছিল শনিবার (১২ আগস্ট)।
ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের মধ্যে বেশ সাড়া ফেলে এই আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী। একই ছাদের নিচে পাওয়া যাচ্ছে ওয়ালটনের নিজস্ব কারখানায় উৎপাদিত আন্তর্জাতিক মানের ৫০ হাজারের বেশি ইন্ডাস্ট্রিয়াল ম্যাটেরিয়ালস, কম্পোনেন্টস, সার্ভিসেস এবং টেস্টিং ফ্যাসিলিটিজ। একটি ব্রান্ডের এত পণ্য এবং সেবা পাওয়া যাচ্ছে, যা অবিশ্বাস্য বলে মনে করেন মেলায় আসা ক্রেতা ও দর্শনার্থীরা।
একই ছাদের নিচে একটি মাত্র প্রতিষ্ঠানের উৎপাদিত আন্তর্জাতিক মানের ৫০ হাজারেরও বেশি শিল্প উপকরণ ও বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে এ ধরনের মেলা বাংলাদেশে এই প্রথম। এটিএস এক্সপোতে টেস্টিং সলিউশন, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ম্যাটেরিয়ালস, কম্পোনেন্টস, সার্ভিসেস ও প্রোডাক্ট—এই চার ক্যাটাগরিতে পণ্য প্রদর্শন করা হয়। মোট ২১টি স্টলে প্রদর্শন করা হয় ওয়ালটনের তৈরি আন্তর্জাতিক মানের ৫০ হাজারেরও বেশি পণ্য। এগুলোর অধিকাংশই প্রায় সকল প্রকার শিল্প প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন ধাপে প্রধান কাঁচামাল ও কম্পোনেন্টস হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
‘ইন্টারন্যাশনাল অ্যাডভান্সড কম্পোনেন্টস অ্যান্ড টেকনোলজি বা এটিএস এক্সপো ২০২৩’ এর ভেন্যু রাজধানীর আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরা হল-১ এ আয়োজন করা হয়।
বৃহস্পতিবার বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ মেলা উদ্বোধন করেন। শনিবার মেলার শেষদিনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, নিটল-নিলয় গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (আইবিসিসিআই) সভাপতি আব্দুল মাতলুব আহমাদ, ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র পরিচালক এস এম মাহবুবুল আলম এবং ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও গোলাম মুর্শেদ।
এদিকে, মেলার দ্বিতীয় দিন শুক্রবার (১১ আগস্ট) বিকেলে প্রদর্শনী স্থলের দ্বিতীয় তলায় ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে দেশীয় শিল্পের ভূমিকা’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনায় উপস্থিত বিশেষজ্ঞরা মনে করেন- বাংলাদেশেকে উন্নত দেশে রূপান্তরের ক্ষেত্রে গার্মেন্টেসের পর সম্ভাবনাময় ইলেকট্রনিক্স শিল্পের টেকসই বিকাশ নিশ্চিত করতে হবে। সেজন্য এই শিল্পখাতে সরকারি পর্যাপ্ত নীতি সহায়তা প্রয়োজন।
তাদের মতে- চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে বাংলাদেশকে ব্র্যান্ডিং করবে ইলেকট্রনিক্স শিল্প। তাই ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ নিয়ে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে নেতৃত্ব দিতে দেশের ইলেক্ট্রনিক্স শিল্পের বিকাশের জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি ‘সেন্ট্রাল ফোরাম’ গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন তারা। পাশাপাশি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সবার আগে নাগরিকদের চিন্তা, চেতনা ও আচরণে স্মার্ট হতে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয় ।


