দিনাজপুরের হিলিতে এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজি প্রতি চালের দাম বেড়েছে ৭-৮ টাকা। অস্বাভাবিক দাম বাড়ায় মিল মালিকদের দুষছেন ব্যবসায়ীরা।তবে সিন্ডিকেট করে দাম বাড়ালে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।এতে করে সাধারণ ক্রেতারা পড়েছে বিপাকে।

আজ রবিবার হিলি বাজার ঘুরে দেখা যায়, সপ্তাহখানেক আগে প্রতিকেজি আটাশ জাতের চাল ৪০-৪২ টাকায় বিক্রি হলেও এখন সেটি ৪৬-৪৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে ৫০ টাকার মিনিকেট বিক্রি হচ্ছে ৫৬ টাকা, স্বর্ণা-৫ জাতের চাল ৩৭-৩৮ টাকা কেজিতে বিক্রি হলেও এখন বিক্রি হচ্ছে ৪৬-৪৮ টাকায়। গুটি স্বর্ণা জাতের চাল কেজিতে ৮ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৪২ টাকায়। যদিও পাইকারি চালের বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে।

চাল ব্যবসায়ী বাবুল হোসেন বলেন,প্রতিবছর এমন সময় চালের দাম কম থাকে।তবে এবার ব্যতিক্রম,দাম বাড়ছে।এর কারণ হলো ধানের দাম বেড়েছে।যে ধান হাজার টাকার নিচে ছিল,সেই ধান বর্তমানে ১১০০ থেকে ১১২০ টাকা মণ বিক্রি হচ্ছে।তবে এতেও দাম খুব বাড়তো না।আবহাওয়া খারাপের কারণে শ্রমিক সংকটে স্থানীয় হাসকিং মিলগুলো চাল উৎপাদন করতে পারছে না।এই সুযোগে চালের অটোমিল মালিকরা বেশি পরিমাণে ধান কিনে চাল করে সব মজুত করছেন। পাশাপাশি বিক্রিও কমিয়ে দিয়েছেন।এতে দাম অনেক বেশি বেড়েছে।  

তিনি অভিযোগ করেন,‘বর্তমানে চাল চাইলেই মিল মালিকরা বলছেন-চাল নেই। এর প্রভাব পড়েছে বাজারে।আমরা যে চাল কোথাও থেকে কিনবো,তারও উপায় নেই। এর ওপর ভারত থেকে চাল আমদানি বন্ধ,যে কারণে বাধ্য হয়ে বাড়তি দামে চাল কেনা-বেচা করতে হচ্ছে।’ 

বাজার নিয়ন্ত্রণে দ্রুত ভারত থেকে চাল আমদানিসহ অসাধু মিল মালিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তিনি।

এদিকে হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ নুর-আলম বলেন,ভরা মৌসুমে চাল মজুদ করে রেখে কেউ যদি দাম বাড়ানোর চেষ্টা করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

news