কাঁচামরিচের দাম দ্বিগুণ বেড়ে ২৪০ টাকা, সব নিত্যপণ্যই ঊর্ধ্বমুখী 

ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাব পড়েছে কাঁচাবাজারে। কাঁচামরিচের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৪০ টাকা কেজি। ১৫ দিন আগেও ছিলো ১২০ টাকা। কেজিতে ৫ টাকা বেড়েছে আলুর দাম, ১০ টাকা বেড়েছে পেঁয়াজের। ডিম ডজনে ৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ টাকায়। দাম বাড়ার তালিকায় আরো রয়েছে মসলা, আদা-রসুনসহ আরও বেশ কিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য। তবে আগের বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে মুরগির মাংস। শুক্রবার রাজধানীর বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। 

বাজার ঘুরে দেখা যায়, কিছু সবজির দাম বেড়েছে। ৫০ টাকার নিচে কোনো সবজি নেই। বেগুন ৫০ থেকে ৬০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, শসা ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতিটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। 

আলুর কেজি ৫৫ থেকে ৬০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিলো ৫০ টাকা। পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিলো ৭০ টাকা।  চায়না আদার কেজি ২৫০ টাকা ও চায়না রসুন ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। গত দুই সপ্তাহে আদার দাম কেজিতে বেড়েছে ২০-৩০ টাকা।

সব ধরনের মাছের দাম উর্ধ্বমুখী। পাঙাশ মাছ কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ২০০-২৫০ টাকায়, তেলাপিয়া বিক্রি হচ্ছে ১৮০-২২০ টাকায়। মধ্যবিত্ত শ্রেণি মাছের স্বাদ নিতে পারলেও নিম্নবিত্ত কিংবা শ্রমজীবী মানুষজন কেনার কথা চিন্তাও করতে পারছেন না। প্রতি কেজি বড় রুই মাছ ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, কাতলা ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা,  কাঁচকি মাছ ৩০০ টাকা, মলা মাছ ৩০০-৪০০ টাকা ও কৈ মাছ ৩৬০ টাকা কেজি দামে বিক্রি হচ্ছে।

আগের মতো বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে মুরগি। ব্রয়লার মুরগির কেজি ২২০ টাকা থেকে ২৩০ টাকা, সোনালির কেজি ৩৬০ থেকে ৩৮০ টাকা। গরুর মাংসের কেজি ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা। 

খুচরা সবজি ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব ও হিমাগারে মূল্যবৃদ্ধির কারণে আলুর দাম বেড়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সরবরাহ কমে যাওয়ায় কাঁচা মরিচসহ অন্যান্য সবজির দাম বাড়তি। 

ভাটারা মতিন স্টোরের ম্যানেজার আলী বলেন, ঈদকে সামনে রেখে গত কয়েকদিন ধরে পেঁয়াজ, আদা, রসুন ও মসলার দাম বাড়তি। এছাড়া ডিমের দাম বেড়েই চলছে।

news