তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে ফিজিবিলিটি স্ট্যাডিকে (সম্ভাব্যতা যাচাই) বড় বাধা হিসেবে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, এতে সময়ক্ষেপণ ও ব্যয় বৃদ্ধি পায়, যা জ্বালানি খাতের উন্নয়নে অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে।  

বিগত সরকারের সময় এই বাধ্যবাধকতা তুলে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। পেট্রোবাংলার তৎকালীন চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার মনে করতেন, গ্যাস অনুসন্ধানে কূপ খননেই মূল সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, আলাদা সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের প্রয়োজন নেই। কারণ অনুসন্ধানে বিনিয়োগ ঝুঁকিপূর্ণ—গ্যাস পাওয়া গেলে লাভ, না পেলে পুরো বিনিয়োগ বৃথা।  

কিন্তু সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তে তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে ফিজিবিলিটি স্ট্যাডির বাধ্যবাধকতা বহাল রাখা হয়েছে। পেট্রোবাংলার বর্তমান চেয়ারম্যান রেজানুর রহমান জানিয়েছেন, ৫০ কোটি টাকার বেশি ডিপিপি প্রকল্পে এই স্ট্যাডি বাধ্যতামূলক থাকবে।  

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম এই বাধ্যবাধকতা বাতিলের জন্য পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছিলেন। কারণ, অনুসন্ধান প্রকল্পের ফিজিবিলিটি স্ট্যাডি সম্পন্ন করতে ৬-১২ মাস সময় ও ৩০-৪০ লাখ টাকা ব্যয় হয়, যা দেশীয় সংস্থাগুলো কম খরচে দ্রুত করতে পারে।  

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই বাধ্যবাধকতার কারণে গ্যাস অনুসন্ধান জটিল হয়ে পড়ছে, যা দেশীয় জ্বালানি সংকট আরও প্রকট করতে পারে। দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলো স্বল্প সময়ে, কম খরচে অনুসন্ধান করতে পারলেও তৃতীয় পক্ষের জড়িত থাকার কারণে দীর্ঘসূত্রিতা বাড়ছে। ফলে দেশীয় জ্বালানি খাত পিছিয়ে পড়ছে এবং বিদেশি আমদানির ওপর নির্ভরশীলতা বাড়ছে।

news