ভারতের বিভিন্ন স্থলবন্দর দিয়ে ডাম্পিং মূল্যে আমদানিকৃত সুতা বাংলাদেশে প্রবেশের কারণে দেশীয় টেক্সটাইল মিলস ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) সভাপতি শওকত আজিজ রাসেল। সোমবার গুলশান ক্লাবে এক বিশেষ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই অভিযোগ করেন।  

বিটিএমএ সভাপতি জানান, দেশের টেক্সটাইল শিল্প দীর্ঘদিন ধরে নানা সংকটের মধ্যে রয়েছে, যার মধ্যে গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি, ডলারের সংকট, ব্যাংক সুদের হার বৃদ্ধি, রপ্তানির বিপরীতে নগদ প্রণোদনার কমতি এবং টাকার অবমূল্যায়নের কারণে ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল সংকট উল্লেখযোগ্য। তিনি জানান, ভারত থেকে স্থলবন্দর ব্যবহারের মাধ্যমে ডাম্পিং মূল্যে সুতা প্রবেশ করার ফলে দেশীয় টেক্সটাইল শিল্পের ওপর নতুন চাপ এসেছে।  

তিনি আরও বলেন, "আমরা যেটুকু সুতা উৎপাদন করছি তা বিক্রি করতে পারছি না। ভারতীয় সুতা এলসি ও বিনা এলসিতে আমদানি হচ্ছে, এবং তাদের বিক্রির দাম ডাম্পিং মূল্যে। ফলে আমাদের উৎপাদিত সুতা গুদামে পড়ে আছে। বর্তমানে ৮-১০ হাজার কোটি টাকার সুতা অবিক্রিত রয়েছে।"  

শওকত আজিজ রাসেল সরকারকে তাদের দাবিগুলো গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করার অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, “সব স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানি বন্ধ করে শুধু সমুদ্রবন্দর দিয়ে সুতা আমদানির ব্যবস্থা করা হোক।” এছাড়া গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি অবিলম্বে বন্ধ করার এবং এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের প্রক্রিয়া স্থগিত করার দাবি জানান তিনি।  

এছাড়াও, বিটিএমএ সহসভাপতি সালেউদ জামান খান অভিযোগ করেন, ভারত প্রতি কিলোগ্রাম সুতায় ১১ রুপি ভর্তুকি দিচ্ছে, যা দেশীয় শিল্পের জন্য ক্ষতিকর।  

বিটিএমএ’র সদস্যদের দাবি, গ্যাসের দাম কমানো, সুদের হার এক অঙ্কে নামিয়ে আনা এবং এলএনজি আমদানি বন্ধ করার মাধ্যমে টেক্সটাইল শিল্পকে বাঁচানো সম্ভব।

news