বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসন থেকে প্রাপ্ত ২৯ মিলিয়ন ডলার অর্থের খরচ কীভাবে হয়েছে তা নজরদারি করা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি জানান, যদি এই অর্থ দেশের স্বার্থবিরোধী কোনো কাজে অথবা উদ্দেশ্যমূলক কোনো ইস্যুতে ব্যবহৃত হয়, তবে তা তদন্ত করা হবে।
গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন তিনি। সাংবাদিকরা জানতে চান, যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বাংলাদেশে অর্থ পাঠানোর কথা বলেছেন। এ টাকা কোথায় এবং কীভাবে খরচ হয়েছে, সে বিষয়ে কোনো তদন্ত হবে কিনা।
অর্থ উপদেষ্টা এর জবাবে বলেন, “ভবিষ্যতে যেন বিদেশি অর্থ দেশের স্বার্থের বিপক্ষে কোনো উদ্দেশ্যে ব্যবহার না হয়, সে বিষয়েও নজরদারি থাকবে।” তবে তিনি জো বাইডেনের পাঠানো অর্থের সুনির্দিষ্ট পরিমাণ বা খরচের খাত সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানাতে পারেননি। তিনি আরও বলেন, এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো তদন্ত হবে কি না, সে ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে, সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো বিষয়টি নিয়ে সতর্ক দৃষ্টি রাখবে।
অপর এক প্রশ্নে অর্থ উপদেষ্টা জানান, দেশের বর্তমান মূল্যস্ফীতি ১০.৭২ শতাংশ হলেও, রমজান শেষে সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে এটি ৭-৮ শতাংশের মধ্যে নামিয়ে আনা। তিনি বলেন, “আমরা চেষ্টা করছি, রমজানের সময়েও দাম যাতে না বাড়ে, সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”


