বাংলাদেশের শীর্ষ ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ওয়ালটনের হেডকোয়ার্টার পরিদর্শনে এসেছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। উদ্দেশ্য, দেশীয় হাই-টেক শিল্পের অভাবনীয় অগ্রগতি এবং রপ্তানিমুখী শিল্প খাতে বাংলাদেশের সাফল্য ও সম্ভাবনা স্বচক্ষে দেখা। ওয়ালটন হেডকোয়ার্টারে তিনি রেফ্রিজারেটর, কম্প্রেসর, এয়ারকন্ডিশনার, টেলিভিশন, এলিভেটর, ল্যাপটপ-কম্পিউটারসহ বিভিন্ন পণ্যের উৎপাদন প্রক্রিয়া ঘুরে দেখবেন।
সোমবার (৮ আগস্ট, ২০২২) দুপুরে গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার পরিদর্শনে আসেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব। হেডকোয়ার্টার কমপ্লেক্সে তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান এস এম রেজাউল আলম এবং ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও গোলাম মুর্শেদ।
মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সফরসঙ্গী হিসেবে আছেন এটুআই প্রোগ্রামের সিনিয়র স্ট্রাটেজিক অ্যাডভাইজার কামরুন নাহার, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য ও বিএসসিএলের পরিচালক প্রফেসর ড. সাজ্জাদ হোসেন, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকর্ণ কুমার ঘোষ, বাংলাদেশ ডাটা সেন্টার কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু সাঈদ চৌধুরী, এটুআই প্রোগ্রামের পলিসি অ্যাডভাইজার আনীর চৌধুরী, যুগ্ম প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান প্রমুখ।
পরিদর্শনকালে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত আছেন ওয়ালটনের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর আলমগীর আলম সরকার ও লিয়াকত আলী, জ্যেষ্ঠ নির্বাহী পরিচালক কর্নেল (অব.) শাহাদাত আলম, ইউসুফ আলী ও ইয়াসির আল ইমরান, নির্বাহী পরিচালক আজিজুল হাকিম, মোহসিন আলী মোল্লা প্রমুখ।
হেডকোয়ার্টার প্রাঙ্গণে পৌঁছে অতিথিরা প্রথমে ওয়ালটনের বিভিন্ন পণ্যের উৎপাদন প্রক্রিয়ার ওপর নির্মিত ভিডিও ডকুমেন্টারি উপভোগ করেন। এরপর তারা ওয়ালটনের সুসজ্জিত প্রোডাক্ট ডিসপ্লে সেন্টার ঘুরে দেখেন। পরে অতিথিরা ওয়ালটনের বিভিন্ন প্রোডাকশন প্ল্যান্ট সরেজমিনে দেখতে যান।
উল্লেখ্য, বিশ্বমানের ইলেকট্রনিক্স, ইলেকট্রিক্যাল ও প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদনে ওয়ালটন একটি প্রশংসিত নাম। গাজীপুরের কালিয়াকৈরে সুবিশাল এলাকাজুড়ে স্থাপন করা হয়েছে ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার। এখানে ফ্রিজ, টিভি, এসি, ল্যাপটপ, কম্পিউটার, মোবাইল ফোন, হোম ও ইলেকট্রিক্যাল অ্যাপ্লায়েন্স, লিফটসহ বিভিন্ন উচ্চমানের বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী পণ্য তৈরি হচ্ছে।
উৎপাদনের পাশাপাশি বিভিন্ন পণ্যের গবেষণা ও উদ্ভাবন (আরঅ্যান্ডআই), মান নিয়ন্ত্রণ, গ্লোবাল বিজনেস ডিভিশনসহ বিভিন্ন বিভাগ গড়ে তুলেছে ওয়ালটন।
‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ লেখা বুকে নিয়ে ওয়ালটনের তৈরি আন্তর্জাতিক মানের পণ্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে। বাংলাদেশি পণ্য দিয়ে এবার বিশ্বজয়ের লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে ওয়ালটন। এজন্য তারা নির্ধারণ করেছে ‘ভিশন গো গ্লোবাল-২০৩০’। অর্থাৎ ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ব্র্যান্ডে পরিণত হতে ব্যাপকভাবে কাজ করছে ওয়ালটন। দেশীয় ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তিপণ্য শিল্পের এই অভাবনীয় অগ্রগতি দেখার উদ্দেশ্যে ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার পরিদর্শনে এসেছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব এবং তার সফরসঙ্গীরা।


