স্বামী মারা গেলে শাখা-সিঁদুর, মাছ-মাংস ত্যাগ করতে হবে না, সিদ্ধান্ত গ্রামের

 গ্রামটির নাম হারওয়াড। আর পাঁচটা সাধারণ গ্রামের একটি। বিশেষ বৈশিষ্ট্য কিছু নেই সেটির। তবে দিন কয়েক হল, গ্রামটির নাম রাজ্যের মানুষের মুখে মুখে ফিরছে (Widow Rituals Banned)।
গত সপ্তাহে গ্রাম সভার বৈঠক বসেছিল সেখানে। গোটা গ্রামকে বৈঠকে হাজির থাকতে আগে থেকে বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়েছিল পঞ্চায়েতের তরফে। অনুরোধ রেখেছেন বেশিরভাগেরাই। ফলে সিদ্ধান্ত হয়েছে সংখ্যাগরিষ্ঠের মত নিয়ে।

সিদ্ধান্তটি কী? গ্রামবাসীরা সিদ্ধান্ত করেছেন, স্বামী মারা গেলে ওই গ্রামের মহিলাদের আর বিধবার নিয়মকানুন, অনুশাসন মানতে হবে না (Widow Rituals Banned)। অন্তেষ্টির পর শাখা-সিঁদুর ত্যাগ করতে হবে না। খাওয়াদাওয়াতেও থাকবে না কোনও বিধিনিষেধ। আমিষ খাবারে থাকবে না বাঁধা। আগের মতই রঙিন শাড়ি পোশাক পরতে পারবেন। মঙ্গলসূত্র ধারণ করতে পারবেন। আর বিয়েতে তো বাধার প্রশ্নই ওঠে না। 

কেন এমন সিদ্ধান্ত নিল গ্রাম? করোনায় ওই গ্রামে বহু কম বয়সি নারী পুরুষ মারা গিয়েছেন। স্ত্রী মারা যাওয়ার পর অনেক পুরুষ দ্বিতীয় পুরুষ বিয়ে করেছেন। কেউ প্রস্তুতি নিচ্ছেন বিয়ের। সমস্যায় মহিলারা। বিধবার বিয়ে নিয়ে সমাজ, পরিবারের আপত্তি অনেকের জন্য বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাছাড়া নানা সামাজিক ও পারিবারিক বিধিনিষেধ তো আছেই।

গ্রামের কয়েকজন নারী-পুরুষ বিষয়টি নিয়ে পঞ্চায়েতের কর্তাদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা চালাচ্ছিলেন। তাতেই দেখা যায়, প্রচলিত প্রথা থেকে মহিলাদের মুক্তি দিতে আগ্রহী অনেকেই। যদিও গোড়ায় ধারণা করা হয়েছিল, সম্মতি মিলবে না গ্রামবাসীদের। ব্যক্তিগত আলোচনায় উল্টো আভাস মিলতেই গ্রাম সভার বৈঠক ডেকে সকলের সামনে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রস্তাব পেশ করেন গ্রামের সরপঞ্চ। বিপক্ষে একটি হাতও ওঠেনি। পঞ্চায়েত ওই সিদ্ধান্ত তাই লিখিতভাবে গ্রামের নোটিস বোর্ডে টাঙিয়ে দিয়েছে।  খবর দ্য ওয়ালের / এনবিএস/২০২২/একে

news