দ্য ও্যায়ার জানায়, ৩৫৫ ধারাটি রাজ্য সরকারকে বরখাস্ত না করে একটি রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা প্রয়োগের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণের কর্তৃত্ব প্রদান করে কেন্দ্রকে এবং এই বিধানটিকে প্রেসিডেন্ট শাসনের এক ধাপ নিচে হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
মণিপুরে শান্তি ও স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনতে আলোচনার জন্য সোমবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও গোয়েন্দা বিভাগের কয়েকজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা রাজ্যটির রাজধানী ইম্ফলে পৌঁচেছেন।
ইকোনোমিক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কর্মকর্তারা রাজ্য সরকার, সুশীল সমাজ এবং সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের সঙ্গে দাবি-দাওয়ার নিয়ে কথা বলবেন। সেখান থেকে একটি তালিকাও তৈরি করা হবে।
পাহাড়িরা উপত্যকা থেকে পৃথক প্রশাসন চায়। এটাই হলো তাদের মূল দাবি। একইসঙ্গে তারা মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের পদত্যাগ চায়। কেন্দ্রীয় সরকার এসব দাবি পূরণ করবে না বলে আগেই জানিয়ে দিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত সপ্তাহে মহিলা পাহারাদার মেরা পাইবিস সহ বিভিন্ন সংগঠন ব্যাপক বিক্ষোভের আয়োজন করে। তাদের দাবি নিরাপত্তা উপদেষ্টা এবং কমান্ডের চেয়ারম্যান কুলদীপ সিংকে অপসারণ এবং ইউনিয়ন ইউনিফাইড কমান্ডের দায়িত্ব মুখ্যমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করা হোক।
যাহোক, ইউনিফাইড কমান্ডের তালিকায় মুখ্যমন্ত্রীর নাম নেই। তারপরই গুজব পল্লবিত হয় সংবিধানের ৩৫৫ ধারা কার্যকর হয়। সোমবার মুখ্যমন্ত্রী সব গুজব উড়িয়ে দিয়ে সর্বদলীয় বৈঠকে বলেছেন, রাজ্যে ৩৫৫ ধারা কার্যকর রয়েছে।