সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) নিয়ে মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ৯ এপ্রিল ধার্য করেছে সুপ্রিম কোর্ট। মঙ্গলবার সিএএ-র উপর স্থগিতাদেশ এবং অন্যান্য মামলা নিয়ে মোট ২৩৬টি আবেদনের শুনানি হয় শীর্ষ আদালতে। 

সেই শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট নরেন্দ্র মোদি সরকারকে জবাব দিতে বলেছে। যদিও আবেদনকারীদের বক্তব্য ছিল, এই সময়ের মধ্যে যাতে কোনও নাগরিকত্বের আবেদন গ্রহণ না করা হয়, সে বিষয়ে স্থগিতাদেশ। কিন্তু শীর্ষ আদালত সে ব্যাপারে কোনও স্থগিতাদেশ জারি করেনি। সূত্র: ডেক্কান হেরাল্ড, দি ওয়াল

এদিন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি জেবি পরদিওয়ালা ও মনোজ মিশ্রকে নিয়ে গঠিত বেঞ্চ শুনানি মুলতুবি করে দেয়। সরকারের পক্ষে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতার অনুরোধে শুনানি মুলতুবি রাখে বেঞ্চ। তুষার মেহতা আবেদনগুলির জবাব দেওয়ার সময় চান আদালতের কাছে। তিনি বলেন, ২৩৭টি আবেদন রয়েছে। এর মধ্যে ২০টি আর্জি রয়েছে আইনের উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে। আমি জবাব দেওয়ার জন্য আদালতের কাছে সময় প্রার্থনা করছি। তিনি আরও বলেন, এই আইনে কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হচ্ছে না। সুতরাং, আবেদনকারীদের তাড়াহুড়োর কোনও কারণ আছে বলে মনে হয় না।

যদিও তুষার মেহতার প্রশ্নের বিরোধিতা করেন আবেদনকারীদের আইনজীবী কপিল সিবাল। স্থগিতাদেশ চেয়ে আবেদনের জবাব দিতে অতিরিক্ত সময় চাওয়া অহেতুক ব্যাপার। তিনি আরও বলেন, যদি নাগরিকত্ব প্রদানের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যায়, তাহলে তা ফেরত নেওয়া যাবে না। যদি তাদের এখনও অপেক্ষা করতে হয়, তাহলে ৯ এপ্রিল কেন, জুলাই কিংবা আদালত যেদিন বলবে সেদিন শুনানি হবে। কোনও জরুরি ব্যাপার নয়! এর জবাবে মেহতা বলেন, সরকার চায় সব ক’টি আবেদনের প্রেক্ষিতে একটি হলফনামা জমা দিতে।

news