ভারতের মানি এক্সচেঞ্জারদের এবার ঘুম উড়েছে।ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদন অনুযায়ী জানা গিয়েছে, পেট্রাপোল স্থলবন্দর যাওয়ার পথে মানি এক্সচেঞ্জারের কাজের সাথে যুক্ত ৩০ বছর বয়সী অচিন্ত্য মন্ডল অভিযোগ করেন যে, গত সোমবার থেকে তাঁদের ব্যবসা “শূন্য” হয়ে গেছে। বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সম্বলিত বাংলাদেশি টাকা প্রত্যাহার করে পরিবর্তন করা হতে পারে বলেও আশঙ্কা করেন তিনি।

তাঁর মতে, এটি আমাদের জন্য একটি বড় উদ্বেগের বিষয় যদি বাংলাদেশ সরকার নোটগুলি প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নেয় তবে আমাদের বড় সমস্যা হবে।” পেট্রাপোল স্থলবন্দরে ১০০ টিরও বেশি মানি এক্সচেঞ্জ শপ বা কাউন্টার রয়েছে।

অচিন্ত্য জানিয়েছেন যে, “আমাদের এখানে লাইসেন্সকৃত প্রতিটি মানি এক্সচেঞ্জ দোকানে ভালো টাকা মজুত রয়েছে। কিন্তু এখন কোনও গ্রাহক নেই। অন্যান্য সাধারণ দিনে, আমি প্রায় ৬০ থেকে ৭০ জন গ্রাহক পাই। তবে, বাংলাদেশে সোমবার থেকে, আমার মাত্র ১ জন গ্রাহক ছিল। অন্যান্য দিনে হাজার হাজার জন্য সীমান্ত অতিক্রম করেন এবং আমরা ব্যস্ত থাকি। আমি প্রতিদিন কমপক্ষে ৮০ জন গ্রাহক পেতাম। তবে এখন আমরা জানি না কবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।” তিনি আরও বলেন, “পেট্রাপোলের পাশাপাশি কলকাতার অনেক দোকানেও কোটি কোটি বাংলাদেশী টাকা আছে। ওই দোকানের মালিকরা এখন দু’টি চিন্তার সম্মুখীন। প্রথমত, কোনও গ্রাহক নেই, এবং দ্বিতীয়ত বাংলাদেশে এই টাকা প্রত্যাহারের ভয়।”

মানি এক্সচেঞ্জাররা ভারতীয় রুপিকে বাংলাদেশি টাকায় রূপান্তর করেন (বর্তমান বিনিময় হার: ১০০ রুপিতে ৭০ টাকা) এবং তাঁরা ডলারও এক্সচেঞ্জ করে থাকেন। এদিকে, বাংলাদেশের বিক্ষোভের পর সীমান্তে রেস্তোরাঁ থেকে শুরু করে চায়ের স্টলগুলিও রীতিমতো খালি রয়েছে। গত সোমবার বিকেল ৩ টে থেকে বাণিজ্য বন্ধ থাকার পর বৃহস্পতিবার থেকে পেট্রাপোল স্থলবন্দর দিয়ে পণ্যবাহী যান চলাচল শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিষয়টির পরিপ্রেক্ষিতে, পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং এজেন্ট স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি কার্তিক চক্রবর্তী জানিয়েছেন যে, “স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ এবং BSF-এর অনুমতির পর, আমরা বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বাণিজ্য শুরু হওয়ার আশা করছি।

news