ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ফোন দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ সময় তাদের মধ্যে বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তাসহ বেশ কিছু বিষয়ে আলাপ হয়।
আজ শুক্রবার বিকেলে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক্সে পোস্ট দিয়ে ড. ইউনূসের সঙ্গে ফোনালাপের বিষয়টি জানান।
মোদি বলেন, ‘বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস কল দিয়েছিলেন, বিরাজমান পরিস্থিতি নিয়ে মতবিনিময় করেন।
একটি গণতান্ত্রিক, স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ এবং অগ্রগামী বাংলাদেশের প্রতি ভারতের সমর্থনের বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে। তিনি বাংলাদেশের হিন্দু ও সব সংখ্যালঘুর সুরক্ষা, নিরাপত্তা ও নিরাপত্তার আশ্বাস দিয়েছেন।’
ছাত্র-জনতার বিক্ষোভের ফলে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন শেখ হাসিনা। এরপর নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে ১৭ সদস্যের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়।
৮ আগস্ট শপথ নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ উপদেষ্টা। ওইদিনই প্রফেসর ইউনূসকে শুভেচ্ছা জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ফোনালাপ হয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির।
শুক্রবার (১৬ আগস্ট) বিকেলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) এক পোস্ট দিয়ে নরেন্দ্র মোদি বিষয়টি জানিয়েছেন।
নরেন্দ্র মোদি জানান, অধ্যাপক মুহম্মদ ইউনূসের টেলিফোন কল পেয়েছি। বিরাজমান পরিস্থিতি নিয়ে আমাদের মধ্যে মতবিনিময় হয়েছে। একটি গণতান্ত্রিক, স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ ও প্রগতিশীল বাংলাদেশের প্রতি ভারতের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছি।
এছাড়াও নরেন্দ্র মোদি, বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়সহ সব সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের ওপর জোর দিয়েছেন।
ফোনে ড. ইউনূস নরেন্দ্র মোদিকে জানান, অন্তর্বর্তী সরকার হিন্দু সম্প্রদায়সহ সব সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তার বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে।
কথোপকথনে ড. ইউনূস ও মোদি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
এর আগে ১৫ আগস্ট ভারতের স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মোদি বলেন, ১৪০ কোটি ভারতীয় বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত। ভারত সর্বদা বাংলাদেশের অগ্রগতির শুভাকাঙ্ক্ষী। আমরা আশা করি, বাংলাদেশে পরিস্থিতি শিগগিরই স্বাভাবিক হবে। আমরা চায় হিন্দু ও সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হোক।
প্রসঙ্গত, ছাত্র বিক্ষোভ ও গণঅভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগের পর দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন শেখ হাসিনা। তবে শেখ হাসিনা ভারতেই থাকবেন না কি অন্য কোথাও আশ্রয় নেবেন, তা এখনো পর্যন্ত স্পষ্ট নয়।