রাজনৈতিক স্বার্থে বিভেদে তৈরি করছে বিরোধীরা, জাহাঙ্গিরপুরীর ঘটনা নিয়ে বিরোধীদের পাল্টা তোপ নাড্ডার
ফের দিল্লিতে সাম্প্রদায়িক হিংসা। ২০২০ সালের পর এই নিয়ে দ্বিতীয়বার হনুমান জয়ন্তীকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল জাহাঙ্গিরপুরীর ঘটনা। তারই তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখেছিল ১৩টি রাজনৈতিক দল। তার পাল্টা আক্রমণ শানিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। তিনি বিরোধীদের পাল্টা আক্রমণ শানিয়ে বলেছেন, দেশের উন্নয়নের দিকে না তাকিয়ে তাঁরা চেষ্টা করছেন কীভাব একটা ছোট জিনিসকে বড় করে দেখানো যায়। আর সেটাকে নিয়ে বিভেদের রাজনীতি করা যায়।
জাহাঙ্গিরপুরীর ঘটনা নিয়ে এবার সরাসরি বিরোধীদের নিশানা করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। তিনি তীব্র আক্রমণ শানিয়ে বলেছেন, বিরোধীরা কেবল বিভেেদর রাজনীতি করতে জানে। ছোট্ট ঘটনা নিয়ে তাই তোলপাড় করেন তাঁরা। ভারত যে উন্নয়নের পথে হাঁটছে সেদিকে দেখেন না তাঁরা। কেবল নিজেদের স্বার্থ কিভাবে রক্ষা করা যায় সেদিকে মন দেন। ভারতের ঐতিহ্যকে নষ্ট করছে বিরোধীরা। সরাসরি বিরোধীদের নিশানা করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে জাহাঙ্গিরপুরীর ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে চিঠি দিয়েছেন ১৩টি বিরোধী দল। তাঁরা অভিযোগ করেছেন মোদীর জমানায় বারবার দিল্লিতে সাম্প্রদায়িক হানাহানির মত ঘটনা ঘটছে।এর আগে ২০২০ সালে সিএএ নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল দিল্লি। সাম্প্রদায়িক হানাহানি চলেছিল প্রায় ১ মাস ধরে। অনেকের প্রাণ গিয়েছিল সেই ঘটনায়। রাজধানীর আইন রক্ষায় ব্যর্থ কেন্দ্র এমনই অভিযোগ করেছেন তাঁরা। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালও এই নিয়ে কেন্দ্রকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন।
হনুমান জয়ন্তীর শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে শনিবার রাতে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল দিল্লির জাহাঙ্গিরপুরী। হিন্দুদের শোভাযাত্রা একটি মসজিদের সামনে দিেয় যাওয়ার সময় পাথর ছোড়া শুরু হয়। প্রকাশ্যে তরোয়াল নিয়ে আক্রমণ শানাতে দেখা গিয়েছে কয়েকজনকে। এমনকী তাঁদের মুখে আল্লা হু আকবর স্লোগান দিতেও শোনা গিয়েছে। জাহাঙ্গিরপুরীতে এই নিয়ে অশান্তির তীব্র আকার নিয়েছিল। একাধিক পুলিশকর্মী আহত হয়েছিলেন। বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
জাহাঙ্গিরপুরীর ঘটনায় বহিরাগতদের হাত রয়েছে বলে দাবি এলাকার একাংশের বাসিন্দাদের। পুলিশ ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় ২১ জনকে গ্রেফতার করেছে। এলাকায় শান্তি বজায় রাখতে মাইকিং করা হচ্ছে। পুলিশ পিকেট বসানো হয়েেছ। চলছে পেট্রোলিং। কোনও রকম গুজব বা হোয়াটস অ্যাপমেসেজে যেন কেউ কান না দেন সেজন্য প্রচার করা হচ্ছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কড়া নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশকে। তিনি নিজে পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছেন।খবর ওয়ানইন্ডিয়ার