ভয়াবহ দিন এগিয়ে আসছে ভারতে, ৩০ বছরের মধ্যে ডুবে যাবে যেসব উপকূলীয় শহর
ভারতের বুকে ধেয়ে আসতে চলছে ভয়াবহ দিন। একটার পর একটা উপকূলীয় শহর চলে যেতে পারে জলের তলায়। মুম্বাই থেকে চেন্নাই- কারও রক্ষা নেই এ যাত্রায়। যে পথে এগিয়ে যাচ্ছে প্রকৃতি, তাতে ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে ভারতকেও। আবহবিজ্ঞানীদের সতর্কবার্তা, ভারতের বহু উপকূলীয় শহর ২০৫০ সালের মধ্যে ডুবে যেতে পারে।
আরএমএসআই-এর বিশ্লেষণ অনুসারে, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে মুম্বই, কোচি, ম্যাঙ্গালোর, চেন্নাই, বিশাখাপত্তনম এবং তিরুবনন্তপুরমের বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং সড়ক পথ ২০৫০ সালের মধ্যে ডুবে যাবে। জলস্ফীতির কারণে প্রায় ৯৯৮টি ভবন এবং ২৪ কিলোমিটার রাস্তার ২০৫০ সালের মধ্যে ভয়ঙ্করভাবে প্রভাবিত হবে। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে নিমজ্জিত হয়ে যাবে ওই ভবন ও রাস্তা।
২০৫০ সালের মধ্যে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি সবথেকে মারাত্মক রূপ নেবে তিরুবনন্তপুরমে। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে ও উচ্চ জোয়ার বা ভরা কোটালের সময় যথাক্রমে ৩৪৯ এবং ৩৮৭টি ভবন প্রভাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। জলস্তর বৃদ্ধির কারণে সমুদ্রের কাছে অবস্থিত বেশ কয়েকটি ভারতীয় শহর আগামী ২৮-৩০ বছরে নিমজ্জিত হতে পারে বলে একটি সমীক্ষা প্রকাশ করেছে।
আরএমএসআই-এর বিশ্লেষণ অনুসারে, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে মুম্বই, কোচি, ম্যাঙ্গালোর, চেন্নাই, বিশাখাপত্তনম এবং তিরুবনন্তপুরম ভয়ঙ্কর বিপদের মুখে পড়তে চলেছে। এটি একটি বিশ্বব্যাপী সমস্যা। যার ফলে হাজি আলি দরগাহ, জওহরলাল নেহরু পোর্ট ট্রাস্ট, ওয়েস্টার্ন এক্সপ্রেস হাইওয়ে, বান্দ্রা-ওরলি সি-লিঙ্ক এবং মেরিন ড্রাইভে কুইন্স নেকলেসও জলের তলায় যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এইসব গুরুত্বপূর্ণ ভবন ছাড়াও মুম্বইয়ের বহু অবকাঠামো ডুবে যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।
আরএমএসআই-এর বিশেষজ্ঞরা শহরগুলির উপকূলরেখার জন্য একটি উচ্চ-রেজোলিউশন ডিজিটাল টেরেন মডেল (টপোগ্রাফি) তৈরি করেছেন। তারপরে তাঁরা বিভিন্ন সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির পূর্বাভাসের উপর ভিত্তি করে শহরগুলির প্লাবন-স্তরের মানচিত্র করতে একটি উপকূলীয় বন্যা মডেলও ব্যবহার করেছেন।
বিশ্লেষণ অনুসারে, মুম্বইতে ২০৫০ সালের মধ্যে সমুদ্রপৃষ্ঠের সম্ভাব্য বৃদ্ধির কারণে এবং উচ্চ জোয়ারের সময় যথাক্রমে প্রায় ৯৯৮টি ভবন এবং ২৪ কিলোমিটার রাস্তা নিমজ্জিত হবে এবং প্রায় ২৪৯০টি ভবন এবং ১২৬ কিলোমিটার রাস্তা প্রভাবিত হবে। চেন্নাইতে ৫ কিলোমিটার রাস্তা এবং ৫৫টি ভবন ঝুঁকিতে রয়েছে। কোচিতে ২০৫০ সালের মধ্যে প্রায় ৪৬৪টি বিল্ডিং প্রভাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এবং উচ্চ জোয়ারের সময় ১৫০২টি বিল্ডিং প্রভাবিত হবে। বিশাখাপত্তনমে ২০৫০ সালের মধ্যে সম্ভাব্য উপকূলরেখা পরিবর্তনের কারণে প্রায় ২০৬টি ভবন এবং ৯ কিমি রাস্তা প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।