ইজরায়েলে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পরে ইজরায়েল রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব আন্তোনিওর প্রবেশাধিকারে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। ইজরায়েলের অভিযোগ, গুতেরেস ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার নিন্দা করেননি। ইজরায়েল রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সে দেশে প্রবেশাধিকারের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। গোটা বিশ্বের ইউরোপ, আফ্রিকা-সহ ১০৪টি দেশ এ বিষয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিবকে সমর্থন জানিয়ে চিঠি প্রকাশ করলেও ভারত সেই চিঠিতে সই করল না। আজ কংগ্রেস নেতৃত্ব মোদী সরকারের এই অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। তবে ভারত ওই চিঠিতে সই না করলেও লেবাননে রাষ্ট্রপুঞ্জের শান্তিরক্ষা বাহিনীর উপরে হামলার নিন্দামূলক বিবৃতিতে যোগ দিয়েছে।

ইজরায়েলে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পরে ইজরায়েল রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব আন্তোনিওর প্রবেশাধিকারে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। ইজরায়েলের অভিযোগ, গুতেরেস ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার নিন্দা করেননি। ইজরায়েলের এই পদক্ষেপের নিন্দা করে রাষ্ট্রপুঞ্জের ১০৪টি দেশ ও আফ্রিকান ইউনিয়ন চিঠি প্রকাশ করে। ইউরোপ, আফ্রিকা, দক্ষিণ এশিয়ার অধিকাংশ দেশের পাশাপাশি অধিকাংশ উন্নয়নশীল দেশ তাতে সই করে। রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের ১০টি সদস্য দেশ এই চিঠিতে সই করলেও আমেরিকা, ব্রিটেন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, ভারত সই করেনি।

মোদী সরকারের এই অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তুলে কংগ্রেসের প্রধান মুখপাত্র জয়রাম রমেশের মন্তব্য, “কেন স্বয়ম্ভূ প্রধানমন্ত্রী বিদেশ মন্ত্রককে এই অবস্থান নিতে নির্দেশ দিয়েছেন, তার পিছনে রহস্য রয়েছে? লজ্জাজনক।” কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরমের মন্তব্য, “কেন ভারত এই চিঠিতে সই করল না, তার কোনও ব্যাখ্যা নেই। রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিবের প্রবেশাধিকারে নিষেধাজ্ঞা জারি করে ইজরায়েল চরম ভুল করেছে। ভারতের উচিত ছিল সবার আগে সই করা।”

চিঠিতে সই না করলেও লেবাননে রাষ্ট্রপুঞ্জের শান্তিরক্ষা বাহিনীর উপরে ইজরায়েলের হামলার নিন্দামূলক বিবৃতিকে সমর্থন জানিয়েছে ভারত। লেবাননে হিজবুল্লার বিরুদ্ধে ইজরায়েলের অভিযানে শান্তিরক্ষা বাহিনীর ৫ জন আহত হওয়ার পরে যে সব দেশ শান্তিরক্ষা বাহিনীতে নিজের সেনা পাঠায়, সেই দেশগুলি এর নিন্দা করে বিবৃতি জারি করেছে। ভারত তাতে সমর্থন জানিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘রাষ্ট্রপুঞ্জের শান্তিরক্ষা বাহিনীর ভূমিকা এই সময়ে খুবই গুরুত্ত্বপূর্ণ। আমরা তাই শান্তিরক্ষা বাহিনীর উপরে হামলার নিন্দা করছি।’

news