শুভেন্দু বিজেপিকে কুক্ষিগত করেছেন, মণ্ডল সভাপতি হওয়ার অযোগ্য কাকে বললেন জয়প্রকাশ

উপনির্বাচনে গোহারা হওয়ার পর ফের বঙ্গ বিজেপিতে বিদ্রোহ মাথাচাড়া দিয়েছে। একের পর এক নেতা-নেত্রী ইস্তফা দিয়ে চলেছেন। সেই দলে রয়েছেন দলের বিধায়করাও। আবার হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ ছেড়েও বিদ্রোহ জারি রেখেছেন অনেকে। এই পরিস্থিতি কয়েকদিন আগে বিদ্রোহী হয়ে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া জয়প্রকাশ মজুমদার কাঠগড়ায় তুললেন দুই নেতাকে।

একেবারে চাঁছাছোলা ভাষায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে নিশানা করলেন তৃণমূলের রাজ্য সহ সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার। তিনি সাফ জানালেন, শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিকে কুক্ষিগত করেছেন। তাই আগামী দিনে আরও অনেকে যে বিজেপি ছাড়ার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন, তা স্পষ্ট। বিজেপিতে আরও ভাঙন স্রেফ সময়ের অপেক্ষা।

জয়প্রকাশ মজুমদারের কথায়, মণ্ডল সভাপতি হওয়ার যোগ্যতা যাঁদের নেই, তাঁদের হাতে রাজ্যের দায়িত্ব দিলে যা হওয়ার সেটাই হয়েছে। ভোটের আগে দেখেছিলাম যোগদান মেলা। আর এখন বিয়োগদান পর্ব চলছে। বিজেপিতে সম্প্রতি যে ইস্তফার হিড়িক শুরু হয়েছে, তাকে এভাবেই কটাক্ষ করলেন তৃণমূলে যোগ দেওয়া জয়প্রকাশ মজুমদার।

শনিবার দুই কেন্দ্রের উপনির্বাচনের ফল প্রকাশ হয়েছে। দুই কেন্দ্রেই ভরাডুবি হয়েছে বিজেপির। তারপর থেকেই ইস্তফার হিড়িক পড়ে গিয়েছে বিজেপিত। মুর্শিদাবাদের দুই বিধায়ক-সহ চারজন ইস্তফা দিয়েছেন। মুর্শিদাবাদের পর নদিয়াতেও বিক্ষোভে সুর শোনা গিয়েছিল নদিয়া উত্তরের বিজেপি পদাধিকারীদের কণ্ঠে। দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে উষ্মা প্রকাশ করে পদত্যাগ করেছেন নদিয়া উত্তর সাংগঠনিক জেলার ১০ জন পদাধিকারী। রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে তারা একটি চিঠিও পাঠিয়েছিলেন। তারপরই ইস্তফা দেন তাঁরা।

বিজেপির দুবারের জেতা আসন আসানসোল। সেই আসনিটি হাতছাড়া হল এবার। তিন লাখেরও বেশি ভোটে বিজেপিকে হারিয়ে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন তৃণমূলের শত্রুঘ্ন সিনহা। বালিগঞ্জে তারা দূরবর্তী তৃতীয় হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে দুই কেন্দ্রের হারের পর রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলেছে দলেরই একাংশ। আর তা নিয়েই বিস্ফোরক পোস্ট করেছেন বিজেপি থেকে বহিষ্কৃত বর্তমানে তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজদুমদার।

সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করে তিনি শুভেন্দু অধিকারী ও সুকান্ত মজুমদারকে নিশানা করে ক়ড়া বিবৃতি দিয়েছেন। তাঁর ভিডিও ও পোস্টে লেখা বিবৃতির সার কথা হল অযোগ্য নেতৃত্বের হাতে পড়েছে বঙ্গ বিজেপি। তাই হারের পর হার হজম করতে হচ্ছে বিজেপিকে। কোনও উত্তরণের দিশা দেখাতে পারছেন না দলের শীর্ষ পদে আসীন অযোগ্য নেতারা।

পদ থেকে অব্যঙতি চেয়ে রবিবার রাজ্য সভাপতিতে চিঠি দিয়েছিলেন মুর্শিদাবাদের দুই বিধায়ক। তারপর নদিয়া থেকে ১০ জন পদাধিকারী ইস্তফা দেন। তারপর সৌমিত্র খাঁ, অনুপম হাজরা-রা তো বিজেপি নেতৃত্বের সমালোচনায় সরব হয়েই রয়েছেন। এর আগে রীতেশ তিওয়ারি থেকে শুরু করে সায়ন্তন বসু, রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়, শান্তনু ঠাকুর-সহ অনেকেই বিজেপিতে বিদ্রোহীর তালিকায় ছিলেন।

news