আগুন থেকে রক্ষায় গণসচেতনতায় স্কুলের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ দরকার

বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরো লাইফ স্টাইল হেলথ এডুকেশন ও প্রমোশন, স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরো, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর-এর পক্ষে পায়াক্ট বাংলাদেশ আগুনে পুড়ে যাওয়া বিষয়ক প্রতিরোধে সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে একটি ক্যাম্পেইন কার্যক্রম শুরু করেছে। ক্যাম্পেইনের আওতায় শিক্ষা উপকরণ লিফলেট, বুকলেট প্রকাশ ও বিতরণ, সচেতনতামূলক বার্তাসহ বিলবোর্ড স্থাপনসহ স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে সচেতনতামূলক নাআন আয়োজন এই কার্যক্রমের অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে।

এ উপলক্ষ্যে কেরানীগঞ্জ গার্লস স্কুল এন্ড কলেজে আয়জিত অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ বিলকিস খন্দকারের সভাপতিত্বে বিশেষ অথিতির বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরোর প্রোগ্রাম কোর্ডিনেটর  মহিউদ্দিন মিয়া বলেন, ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়- শুধু ২০২২ সালে দেশে ২৪ হাজার ১০২টি অগ্নি দূর্ঘটনা ঘটেছে, যার অধিকাংশই ঘটেছে বৈদ্যুতিক গোলযোগ ও গ্যাসের কারণে। এর গ্যাস সরবরাহ লাইনে আগুন থেকে ৭৯৫টি দূর্ঘটনা ঘটেছে।

তিনি আরো বলেন, দেশে প্রতিবছর প্রায় ৬ লক্ষ মানুষ আগুনে পুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন আর এর শিকার হয়ে থাকেন বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষ।

এসময় তিনি প্রতিবছর বিভিন্ন বিষয়ে জনসচেতনতা তৈরির জন্য সরকার কাজ করছে বলেও উল্লেখ করেন।

সভাপতি বিলকিস আক্তার তার বক্তব্যে বলেন, ছাত্র-ছাত্রীরাই আমাদের ভবিষ্যৎ। এদের সচেতন করে তুলতে পারলে আমরা ভবিষ্যতে আগুনে পুড়ে যাওয়ার ঘটনা কমিয়ে আনা সম্ভব। আর এটির প্রতিরোধে   ব্যাপক জনসচেতনতা তৈরি প্রয়োজন।

এসময় তিনি স্কুল-কলেজের পাঠসুচিতে বিষয়টি অন্তর্ভূক্ত হওয়া প্রয়োজন বলেও উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, আগুনে পোড়া লোকদের মধ্যে ৫০ভাগের বেশি লোকের বয়স ২৫ থেকে ৬৫ বছর। রান্নাঘরে খাবার তৈরির সময় সবচেয়ে বেশি পোড়ার ঘটনা ঘটে থাকে। শহরের জনসংখ্যার তুলনায় গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে আগুনে পোড়ার ঘটনাও বেশি।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে  পায়কটের প্রধান ডা. মোস্তফা সদিক খান, মো জিয়া উদ্দিনসহ  সমাজের অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ ও স্কুলের সকল ছাত্র-ছাত্রী উপস্থিত ছিলেন।

এনবিএস/ওডে/সি

news