শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে চাকরি ছাড়লেন জাবি শিক্ষক 

সারা দেশে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষকে হত্যা ও কিছু প্রতিবাদী শিক্ষকের ওপর হামলার প্রতিবাদে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতা থেকে স্বেচ্ছায় অব্যাহতি নিয়েছেন সহযোগী অধ্যাপক জাহিদুল করিম।

বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) জাহিদুল করিম তার নিজ ফেসবুক প্রোফাইলে অব্যাহতিপত্রটি পোস্ট করার পর ভাইরাল হয়ে যায়। এ ব্যাপারে খুদে বার্তা পাঠিয়ে তার কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি আজ সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর করা এ অব্যাহতিপত্র রেজিস্ট্রারকে মেইল করেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী জাহিদুল করিম ২০১০ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগে শিক্ষক হিসাবে যোগদান করেন। বর্তমানে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে পিএইচডি করছেন।

জাহিদুল করিম তার অব্যাহতিপত্রে জানান, গত এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগ, পুলিশ, র‍্যাব ও বিজিবি হামলা চালিয়েছে, তা এই জাতির জন্য একটি কালো অধ্যায়ের জন্ম দিয়েছে। স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষকে হত্যা ও কিছু সংখ্যক প্রতিবাদী শিক্ষককে রক্তাক্ত করার মধ্যদিয়ে ১৯৭১ সালের বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে। এমন কর্মকাণ্ড দেখেও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশা

শিক্ষকদের ভূমিকা আজ জাতির কাছে প্রশ্নবিদ্ধ উল্লেখ করে তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলীয় করণের কারণে শিক্ষক সমাজের বিবেক লোপ পেয়েছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থী সম্পর্ক ভূলুণ্ঠিত হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৪ বছর ধরে শিক্ষকতা করা এই শিক্ষক জানান, দেশের সাম্প্রতিক সহিংসতা ও নৈরাজ্য সৃষ্টির সরকারের উদাসীনতা ও শিক্ষকদের দলীয় মনোভাব আমাকে ব্যথিত করেছে। আমি সবসময় সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে কথা বলেছি এবং শিক্ষার্থীদের ন্যায্য অধিকার আদায়ে সর্বদা পাশে থেকেছি। কোটা সংস্কারের একটি ন্যায্য অধিকার আদায়ের আন্দোলনের বিরুদ্ধে সরকারের আগ্রাসী মনোভাবের কারণে অনেক সাধারণ শিক্ষার্থীর মূল্যবান জীবন দিতে হয়েছে।

 শহীদ সকল শিক্ষার্থী ও আহত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশের শিক্ষক সমাজের মূল্যবোধ ও নৈতিকতাবোধকে জাগ্রত করতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপকের চাকরি থেকে অব্যাহতি ঘোষণা করছি।

অব্যাহতিপত্রের ব্যাপারে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (চুক্তিভিত্তিক) মো. আবু হাসান বলেন, 'আমরা তার পদত্যাগ সংক্রান্ত মেইলটি সকাল সাড়ে দশটার দিকে পেয়েছি।

news