য‌শো‌রে প্রাথ‌মিক বিদ্যালয়ের উন্নয়ন কা‌জের জন্য তিন কো‌টি টাকা বরাদ্দ

প্রাথমিকে বিদ্যালয় ভিত্তিক উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে চলতি অর্থ বছরে ৩ কোটির বেশি টাকা বরাদ্দ পেয়েছে যশোরের ১ হাজার ২৮৪ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। তিন ক্যাটাগরিতে এই অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ক্যাটাগরি ভিত্তিক প্রতিটি স্কুল সর্বনিম্ন ৫০ ও সর্বোচ্চ ১ লাখ টাকা করে পাচ্ছে। শিক্ষার্থীর সংখ্যার উপর ভিত্তি করে এই বিভাজন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে স্লিপের অর্ধেক টাকা পেয়েছে স্কুলগুলো।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় স্কুল ভিত্তিক উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে স্কুল লেভেল ইমপ্রুভমেন্ট প্ল্যান-স্লিপ প্রকল্প গ্রহণ করে বেশ কয়েক বছর আগে। যদিও এই প্রকল্প বাস্তবায়ন নিয়ে নানামুখি কথাবার্তা রয়েছে। চলতি অর্থ বছরে যে তিন ক্যাটাগরিতে অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে তা হচ্ছে, শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১ থেকে ২০০, ২০১ থেকে ৫০০ ও ৫০১ থেকে ১০০০। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ১ থেকে ২০০ শিক্ষার্থী থাকা স্কুল ৫০ হাজার, ২০১ থেকে ৫০০ শিক্ষার্থীর স্কুল ৭০ হাজার ও ৫০১ থেকে ১০০০ শিক্ষার্থীর স্কুলকে দেয়া হচ্ছে ১ লাখ টাকা করে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তর থেকে পাওয়া তথ্যানুযায়ী, যশোরের অভয়নগর উপজেলার ১১৬ টি স্কুলকে ৩২ লাখ, কেশবপুরের ১৫৭ স্কুলকে ৪২ লাখ ২০ হাজার, চৌগাছার ১৩৯ টি স্কুলকে ৩৯ লাখ ২০ হাজার, ঝিকরগাছার ১৩১ স্কুলকে ৩৯ লাখ ৫৭ হাজার ৫০০, বাঘারপাড়ার ১০২ টি স্কুলকে ২৮ লাখ ৯৭ হাজার ৫০০, মণিরামপুরের ২৬৩ স্কুলকে ৬৯ লাখ ৫২ হাজার ৫০০, শার্শার ১২৫ স্কুলকে ৩৮ লাখ ৬৭ হাজার ৫০০ ও সদর উপজেলার ২৫১ স্কুলকে ৭৪ লাখ ৫৭ হাজার ৫০০ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। বরাদ্দের এই টাকা দু’ধাপে পাচ্ছে স্কুলগুলো। ইতিমধ্যে ২০২২ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত টাকা পেয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। বাকি আছে এ বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত।

তবে, স্লিপের বরাদ্দকৃত কোটি কোটি টাকার সুষ্ঠু ব্যবহার নিয়ে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। যশোরের অনেক স্কুলে এর আগে এই প্রকল্পের টাকা খরচের দু’টি খাতার সন্ধান মেলে। একটি খাতায় গোঁজামিলের হিসাব থাকে, আরেকটিতে প্রকৃত হিসাব। কর্মকর্তারা পরিদর্শনে গেলে গোঁজামিলের খাতাটি হাজির করেন সংশ্লিষ্টরা। আবার অনেক সময় সংশ্লিষ্ট ক্লাস্টার অফিসারের সহযোগিতায় স্লিপের টাকা নয়ছয় করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যথাযথ তদারকি না করলে সরকারের এই প্রকল্প কেবল কাগজ-কলমে থাকবে বাস্ত‌বে কোন কাজ হ‌বে না।

এনবিএস/ওডে/সি

news