আচমকাই ইউক্রেনে মার্কিন ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন! জেলেনস্কির স্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ
যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে আচমকাই ‘সারপ্রাইজ ভিজিটে’ মার্কিন ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন (Jill Biden)! রবিবার তিনি ইউক্রেনের উঝহর্ডে পৌঁছন। দেখা করেন ইউক্রেনের ফার্স্ট লেডি ওলেনা জেলেনস্কার সঙ্গে। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে তাঁর স্বামী অর্থাৎ ইউক্রেনের (Ukrain)প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির লড়াইয়ের জন্য অনুপ্রেরণা জোগান জিল বাইডেন। জানা গিয়েছে, প্রায় ২ ঘণ্টা তিনি ছিলেন ইউক্রেনে। আড়াই মাস আগে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর এই প্রথমবার ইউক্রেনের ফার্স্ট লেডিকে দেখা গেল প্রকাশ্যে।
এর আগে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের (Borris Johnson) ইউক্রেন সফর চলাকালীন সে দেশের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিকে দেখা গিয়েছিল তাঁর সঙ্গে যুদ্ধবিধ্বস্ত কিয়েভের রাস্তায় হাঁটতে।
মার্কিন (US)ফার্স্ট লেডি হওয়ার পর এই প্রথম ‘সোলো ট্রিপ’ করছেন জিল বাইডেন। তিনি স্লোভাকিয়ার সীমান্ত পেরিয়ে এদিন পৌঁছন ইউক্রেনে। দক্ষিণ-পশ্চিমের উঝহর্ড বিমানবন্দরে ২ ঘণ্টা সময় কাটান। সেখানে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন ইউক্রেনের ফার্স্ট লেডি ওলেনা। তাঁকে ফুল দিয়ে পাশে থাকার বার্তা দেন মার্কিন ফার্স্ট লেডি। একান্ত আলাপচারিতায় ওলেনা বলেন, যুদ্ধ শুরুর সময় থেকে তিনি ছেলেমেয়েদের নিয়ে আত্মগোপন করে রয়েছেন। কতটা আতঙ্ক আর বিপর্যয়ের মধ্যে তাঁরা দিন কাটাচ্ছেন, তা সবিস্তারে জানান। দু’জনকে একটি স্কুলঘরের ভিতর দেখা যায়। যুদ্ধ শুরুর পর এই স্কুলটি আপাতত গৃহহীনদের আশ্রয় শিবির হিসেবেই চলছে। এখানে ঘণ্টাখানেক ধরে কথা বলেন জিল বাইডেন-ওলেনা জেলেনস্কা।
প্রসঙ্গত, ফেব্রুয়ারির ১৮ তারিখ ইউক্রেনের উপর হামলা চালিয়ে যুদ্ধের সূচনা করে পুতিনের রাশিয়া। ইউক্রেন ন্যাটোর (NATO) অন্তর্ভুক্ত হওয়ার তোড়জোড় শুরু করতেই নেমে আসে রুশ হামলা। রাজধানী কিয়েভ-সহ একাধিক শহর বিধ্বস্ত। বেশ কিছু এলাকা রুশ সেনার দখলে। কয়েকদফায় আলোচনার টেবিলে বসেও মেলেনি সমাধান। এই অবস্থায় ইউরোপের অধিকাংশ দেশ ইউক্রেনের পাশে দাঁড়িয়েছে।
এই টালমাটাল পরিস্থিতির মধ্যেও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন সেখানে গিয়ে জেলেনস্কির সঙ্গে দেখা করেন। সেনা আর সাঁজোয়া গাড়ির মাঝেই রাস্তায় ঘুরে দেখেন পরিস্থিতি। এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন পোল্যান্ড সীমান্ত থেকেই ইউক্রেনের পরিস্থিতি পরিদর্শন করেছিলেন। এবার তাঁর স্ত্রী একা, সশরীরে হাজির হলেন সে দেশে।
এক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, এই পরিস্থিতিতে মার্কিন ফার্স্ট লেডির ইউক্রেন সফর কতটা ঝুঁকিপূর্ণ, তা বেশ টের পাচ্ছেন ওলেনা জেলেনস্কা, এমনই তিনি জানিয়েছেন। তবে এভাবে পাশে থাকার জন্য কৃতজ্ঞতাও জানান ইউক্রেনের ফার্স্ট লেডি। প্রসঙ্গত, এর আগে ২০১৫ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামার স্ত্রী মিশেল ওবামা ‘সোলো ট্রিপে’ গিয়েছিলেন কাতারের মার্কিন এয়ারবেসে। আর তারপর জিল বাইডেনের একান্ত সফর। তাও আবার যুদ্ধবিধ্বস্ত এক দেশে। সংবাদ প্রতিদিন/ এনবিএস/২০২২/একে