ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্র প্রতিবেশী হাইতিতে চলমান সহিংসতা ও অস্থিতিশীলতা মোকাবেলায় সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদার করেছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট লুইস আবিনাদার রোববার ঘোষণা দিয়েছেন, হাইতির সংকটের কারণে তারা সীমান্তে অতিরিক্ত ১,৫০০ সেনা মোতায়েন করছেন, যা ইতিমধ্যে deployed ৯,৫০০ সেনার শক্তিকে আরও বাড়াবে।
কী পদক্ষেপ নিচ্ছে ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্র?
-
সীমান্ত প্রাচীর নির্মাণ ত্বরান্বিত করা: দুই দেশের মধ্যে ৩০০ কিলোমিটার সীমান্তের মধ্যে ইতিমধ্যে ৫৪ কিলোমিটার প্রাচীর নির্মাণ শেষ হয়েছে। এখন আরও ১৩ কিলোমিটার প্রাচীর নির্মাণের কাজ দ্রুত এগিয়ে নেওয়া হবে।
-
অভিবাসন আইন কঠোর করা: অবৈধ অভিবাসীদের দেশে ঢুকতে সহায়তা করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
-
হাইতিয়ানদের জোরপূর্বক ফেরত পাঠানো: গত কয়েক মাসে সপ্তাহে প্রায় ১০,০০০ হাইতিয়ানকে ফেরত পাঠানো হয়েছে, যা মানবাধিকার সংগঠনগুলোর সমালোচনার কারণ হয়েছে।
হাইতিতে কী হচ্ছে?
হাইতির রাজধানী পোর্ট-অব-প্রিন্স এখন গ্যাংগুলির নিয়ন্ত্রণে। কেনিয়ার শান্তিরক্ষী বাহিনীর প্রায় ১,০০০ সদস্য থাকলেও গত কয়েক মাসে সহিংসতা আরও বেড়েছে। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে হাইতিতে ৫,৬০০-এর বেশি মানুষ নিহত হয়েছে এবং ১০ লক্ষেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে, যাদের অনেকেই ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্রে আশ্রয় নিতে চাইছেন।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ভূমিকা
প্রেসিডেন্ট আবিনাদার আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে হাইতির সংকট মোকাবেলায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। তবে, তিনি তার দেশের সীমান্ত রক্ষায় কোনো ছাড় দিতে নারাজ। গত মে ২০২৪-এর নির্বাচনে তিনি হাইতির ইস্যুকে কেন্দ্র করে দ্বিতীয় মেয়াদে জয়ী হয়েছিলেন।
মানবাধিকার সংগঠনগুলোর উদ্বেগ
অভিবাসন নীতির কঠোরতা এবং হাইতিয়ানদের জোরপূর্বক ফেরত পাঠানোর কারণে মানবাধিকার সংগঠনগুলো ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্র ও মার্কিন সরকারের সমালোচনা করছে। তাদের দাবি, হাইতির বর্তমান পরিস্থিতিতে ফেরত পাঠানো মানুষদের জীবন ঝুঁকিতে পড়বে।
পরবর্তী পদক্ষেপ কী?
ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্রের এই কঠোর নীতি হাইতির সংকটের স্থায়ী সমাধান নয় বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তবে, প্রেসিডেন্ট আবিনাদার পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, যতদিন হাইতিতে স্থিতিশীলতা ফিরে না আসে, ততদিন তার দেশের সীমান্ত কঠোরভাবে পাহারা দেওয়া হবে।
#ডোমিনিকান_প্রজাতন্ত্র #হাইতি_সংকট #সীমান্ত_নিরাপত্তা #অভিবাসন_নীতি #মানবাধিকার


