মালদ্বীপের নতুন প্রেসিডেন্ট হলেন চীনপন্থী মোহাম্মদ মুইজ্জু

মালদ্বীপে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দ্বিতীয় দফার ভোটে জয়ী হয়েছেন বিরোধী দল পিপলস ন্যাশনাল কংগ্রেসের (পিএনএস) মোহামেদ মুইজ্জু। ফল ঘোষণার পর দেশটির ভারতপন্থী বর্তমান প্রেসিডেন্ট মালদ্বীপ ডেমোক্রেটিক পার্টির (এমডিপি) ইব্রাহিম মোহাম্মদ সলিহ পরাজয় স্বীকার করে নিয়ে মোহামেদ মুইজ্জুকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। 

শনিবার দ্বিতীয় দফার ভোটে মোহামেদ মুইজ্জু পেয়েছেন ৫৪ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ ভোট। আগামী ১৭ নভেম্বর দেশটির নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেবেন তিনি। 

 দেশটির নিয়ম অনুযায়ী ভোটে কোনো প্রার্থী একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা (৫০ শতাংশের বেশি ভোট) না পেলে নির্বাচন দ্বিতীয় দফায় গড়ায়। প্রথম দফার নির্বাচনে মুইজ্জু পেয়েছিলেন ৪৬ শতাংশ ভোট। আর সলিহ ৩৯ শতাংশ।

উল্লেখ্য, চীন–-ভারতের দ্বন্দ্বের ছায়ায় অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে মোহাম্মদ সলিহ (৬১) জয়ী হলে দ্বীপ দেশটিতে নয়াদিল্লির প্রভাব বাড়তো বলে ধারণা করা হচ্ছিল। সলিহর সঙ্গে নয়াদিল্লির সম্পর্ক ভালো। অপরদিকে মোহামেদ মুইজ্জু (৪৫) চীনপন্থী হিসেবে পরিচিত।

রাজধানী মালেতে মুইজ্জু ও সলিহ পৃথক বুথে নিজেদের ভোট দেন। সে সময় দুজনই জিতবেন বলে সাংবাদিকদের কাছে আশা ব্যক্ত করেন। বিদায়ী প্রেসিডেন্ট সলিহ এবারের নির্বাচনে দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য লড়েছেন। দুর্নীতির অভিযোগে গত বছরের ডিসেম্বরে বিরোধীদলীয় নেতা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট আবদুল্লা ইয়ামিনের ১১ বছরের কারাদণ্ড হয়। ইয়ামিনের জায়গায় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন মুইজ্জু।

মালদ্বীপ হচ্ছে ভারত মহাসাগরের মাঝখানে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ একটি দেশ। প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের মধ্য দিয়ে যে জাহাজ চলাচলের রুটের মাঝামাঝি অবস্থানে রয়েছে মালদ্বীপ। তাই দেশটিতে নিজেদের উপস্থিতি বাড়াতে ভারত ও চীন প্রবল চেষ্টা চালাচ্ছে। মুইজ্জুর দল চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড অবকাঠামো কর্মসূচি থেকে বড় ধরনের আর্থিক সুবিধা নিতে আগ্রহী। সাবেক প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামিনও ছিলেন চীনঘেঁষা ছিলেন। তিনি মালদ্বীপে নির্মাণ প্রকল্পের জন্য ভারতকে প্রত্যাখ্যান করে চীনের কাছ থেকে প্রচুর ঋণ নিয়েছিলেন।

news