ভারতের পশ্চিমবঙ্গের **হাওড়া জেলার শঙ্করাইলের এক নারী স্বামীকে কিডনি বিক্রি করতে বাধ্য করেন**। স্বামীকে তিনি আশ্বাস দিয়েছিলেন, **এই অর্থে তাঁদের মেয়ের পড়াশোনা ও বিয়ের খরচ চালানো হবে**। কিন্তু কিডনি বিক্রির পর সেই নারী **পুরো টাকা নিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যান**।  

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম **হিন্দুস্তান টাইমসের** এক প্রতিবেদনে বলা হয়, স্ত্রীর অনবরত অনুরোধে স্বামী **শেষ পর্যন্ত কিডনি বিক্রিতে রাজি হন**। এক বছরের প্রচেষ্টার পর **তিন মাস আগে ১০ লাখ টাকার বিনিময়ে নিজের একটি কিডনি বিক্রি করেন তিনি**। স্বামী ভেবেছিলেন, এতে **পরিবারের দারিদ্র্য কিছুটা লাঘব হবে এবং মেয়ের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত হবে**। কিন্তু তিনি জানতেন না, তাঁর স্ত্রী **এর মধ্যেই অন্য কারও সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন**।  

স্ত্রী **ফেসবুকে ব্যারাকপুরের এক চিত্রশিল্পীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন** এবং কিডনি বিক্রির **১০ লাখ টাকা নিয়ে সেই প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যান**। বিষয়টি জানতে পেরে **স্বামী পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন** এবং স্ত্রী ও তাঁর প্রেমিকের অবস্থান খুঁজে বের করেন। পরে পরিবারের সদস্য, **শ্বশুর-শাশুড়ি ও ১০ বছরের মেয়েকে নিয়ে সেখানে হাজির হন তিনি**।  

কিন্তু ব্যারাকপুরে প্রেমিকের বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে **অনেক ডাকাডাকির পরও দরজা খোলেননি স্ত্রী**। স্বামীর অনুরোধ, **শ্বশুর-শাশুড়ির কান্না, এমনকি নিজের মেয়ের আহ্বানেও তিনি বাইরে আসেননি**। উল্টো **স্বামীকে ডিভোর্সের হুমকি দিয়ে বলেন, "যা পারো, করো!"**  

ভারতে ১৯৯৪ সাল থেকে **মানব অঙ্গ বিক্রি অবৈধ** হলেও **অঙ্গদাতার সংকটের কারণে এই অনৈতিক কাজ এখনো অব্যাহত রয়েছে বলে মনে করেন চিকিৎসকেরা**।  

এই ঘটনায় **স্বামী এখন অর্থনৈতিক ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত**। **কিডনি হারিয়েছেন, স্ত্রীও ছেড়ে গেছেন, আর যে ভবিষ্যৎ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন, সেটিও ধূলিসাৎ হয়ে গেছে!**

news