ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলের নৃশংস আক্রমণের পর ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে আরও ৩০ জনের লাশ উদ্ধার হয়েছে। এর ফলে, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া গণহত্যামূলক অভিযানে গাজায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৮ হাজার ৪৫০ জনে পৌঁছেছে। দীর্ঘ ১৫ মাস পর গত জানুয়ারি মাসে যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হলেও, গাজা এখনও ধ্বংসের সাক্ষী। একের পর এক উদ্ধার অভিযান চললেও, প্রাণহানির সংখ্যা বাড়তেই চলছে।
বার্তাসংস্থা আনাদোলুর প্রতিবেদনে বলা হয়, ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্যকর্মী এবং উদ্ধারকর্মীরা ধ্বংসস্তূপের নিচে থেকে মৃতদেহগুলো উদ্ধার করেন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আরও ৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলের আক্রমণে আহত হয়েছেন প্রায় ১ লাখ ১১ হাজার ৮৪৫ জন। তবুও, বহু মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন এবং উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না।
গত ১৯ জানুয়ারি থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও, ইসরায়েল দীর্ঘদিন ধরে এই ভূখণ্ডে আক্রমণ চালিয়ে আসছিল। জাতিসংঘের প্রস্তাব থাকার সত্ত্বেও, গাজার ওপর এই আক্রমণ অব্যাহত ছিল। ইসরায়েলের বর্বরতায় প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছেন এবং ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে।
গাজার বর্তমান পরিস্থিতি অতি ভয়াবহ এবং আন্তর্জাতিক মহল এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য জোর দাবি জানাচ্ছে। ইতোমধ্যে ইসরায়েলকে গণহত্যার অভিযোগে আন্তর্জাতিক আদালতে অভিযুক্ত করা হয়েছে, কিন্তু পরিস্থিতি এখনো অপরিবর্তিত।


