অস্ট্রেলিয়ার প্রধান বিরোধী দল লিবারেল পার্টি তাদের বিতর্কিত দুটি নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাদ দিয়েছে। সরকারি কর্মচারীদের রিমোট কাজ বন্ধ করা এবং প্রায় ৪১ হাজার চাকরি কাটছাঁটের পরিকল্পনা থেকে সরে এসেছে তারা। জনমত জরিপে সমর্থন কমে যাওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
লিবারেল পার্টির নেতা পিটার ডাটন স্বীকার করেছেন, "এটি ছিল আমাদের ভুল"। তিনি নাইন নেটওয়ার্ককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, "ট্যাক্সপেয়ারদের টাকা সঠিকভাবে ব্যয় হচ্ছে কিনা তা নিশ্চিত করাই আমাদের উদ্দেশ্য ছিল।"
এই সিদ্ধান্তে প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজি ব্যঙ্গ করেছেন। তিনি বলেন, "ডাটন আধুনিক পরিবার ও কর্মজীবীদের চাহিদা বুঝতে ব্যর্থ হচ্ছেন।"
নতুন জরিপে দেখা গেছে, আলবানিজির লেবার পার্টি এখন ৫২-৪৮ শতাংশে এগিয়ে আছে। তবে নির্বাচনী রেস এখনও খুব টাইট।
বাসস্থানের উচ্চমূল্য ও জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি এই নির্বাচনের প্রধান ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, কোন দলই এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না, হতে যাচ্ছে হ্যাং পার্লামেন্ট।
২০১০ সালের পর এবারই প্রথম অস্ট্রেলিয়ায় হ্যাং পার্লামেন্ট হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তখন জুলিয়া গিলার্ড গ্রিন পার্টি ও স্বতন্ত্র সাংসদদের সমর্থনে সরকার গঠন করেছিলেন।
রিমোট কাজের সুবিধা রেখে এখন ভোটারদের মন জয় করার চেষ্টা করছে লিবারেল পার্টি। দেখা যাক, এই নতুন কৌশল কাজে দেয় কিনা! খবর আলজাজিরার


