শুক্রবার ভোরে গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় অন্তত ১৭ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে শিশু ও গর্ভবতী নারীও রয়েছেন। হামলার দিনই জেরুজালেমে প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে এলেন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন রাষ্ট্রদূত মাইক হাকাবি।
জাবালিয়ায় একটি বাড়িতে হামলায় ৮সহ মোট ১০ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ইন্দোনেশিয়া হাসপাতাল। খান ইউনিস শহরে আরও ৭ জনের মৃতদেহ নাসের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, যাদের মধ্যে একজন গর্ভবতী নারীও রয়েছেন। গত কয়েকদিন ধরে গাজায় ইসরায়েলের হামলা তীব্রতর হচ্ছে, যার লক্ষ্য হামাসকে চাপে রাখা এবং জিম্মিদের মুক্ত করা।
এদিকে, নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূত হাকাবি জেরুজালেমের ওয়েস্টার্ন ওয়ালে (পশ্চিম প্রাচীর) প্রার্থনা করতে গিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, তিনি ডোনাল্ড ট্রাম্পের হাতে লেখা একটি প্রার্থনাপত্র প্রাচীরে রেখেছেন। "তিনি আমাকে বলেছেন, জেরুজালেমের শান্তির জন্য প্রার্থনা করতে," বলেন হাকাবি। তিনি আরও জানান, হামাসের কাছে থাকা জিম্মিদের মুক্ত করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে।
হাকাবি আগে পশ্চিম তীরকে ইসরায়েলের অংশ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার পক্ষে মত দিলেও এখন বলেন, এটি নীতিগতভাবে তার এজেন্ডায় নেই। ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদে জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন, যা ফিলিস্তিনিদের তীব্র প্রতিবাদের মুখে পড়ে।
এই হামলাগুলো আসছে এমন সময়ে, যখন যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক মধ্যস্ততাকারীরা ভাঙা যুদ্ধবিরতি পুনর্বহালের চেষ্টা করছেন। ইসরায়েলের শর্ত, হামাসকে যেকোনো নতুন যুদ্ধবিরতির শুরুতে আরও জিম্মি মুক্ত করতে হবে এবং শেষ পর্যন্ত অস্ত্র ত্যাগ করে গাজা ছাড়তে হবে। অন্যদিকে, হামাসের আলোচক দলের প্রধান খলিল আল-হায়্যা বলেছেন, তারা ইসরায়েলের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। হামাসের শর্ত, ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তি, গাজা থেকে ইসরায়েলের সম্পূর্ণ প্রত্যাহার এবং স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ছাড়া তারা জিম্মি মুক্ত করবে না।
গাজাবাসীর জন্য এই হামলা নতুন কিছু নয়, কিন্তু প্রতিবারই এটি তাদের জন্য ভয়াবহ দুঃস্বপ্ন বয়ে আনে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে এখন প্রশ্ন, এই সহিংসতা কবে থামবে?
#গাজা_হামলা #ইসরায়েল_ফিলিস্তিন #মাইক_হাকাবি #জিম্মি_সংকট #যুদ্ধবিরতি


