গাজায় দীর্ঘদিন ধরে চলা রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ ও মানবিক বিপর্যয়ের মাঝেও বিশ্বের দৃষ্টি যেন ধীরে ধীরে সরে যাচ্ছে অন্যদিকে—ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনার দিকে। এই নতুন সংঘাত গাজার জনগণের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। কেউ কেউ ইসরায়েলের ওপর ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত দেখে ক্ষণিকের স্বস্তি পেলেও, তারপরেই আবার ফিরে আসে হতাশা ও ভয়ের বাস্তবতা।

প্রায় ২০ মাস ধরে গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলের অবিরাম বিমান হামলায় হাজারো শিশু, নারী ও পুরুষ নিহত হয়েছে। মানবিক সহায়তা বন্ধ, খাদ্য ও চিকিৎসার সংকট এবং বাস্তুহীন অবস্থায় লাখো মানুষ দুঃসহ জীবন কাটাচ্ছেন। এই প্রেক্ষাপটে ইরান-ইসরায়েলের উত্তেজনা নতুন সংকট বয়ে আনছে তাদের জন্য।

গাজাবাসী হাসান ওমর তালবা, যিনি ইসরায়েলি হামলায় স্ত্রী, সন্তান ও ভাই হারিয়েছেন, বলেন, “ইরান কখনো আমাদের জন্য একটি স্কুল বা হাসপাতাল বানায়নি, এমনকি সাহায্যের একটি ট্রাকও পাঠায়নি। তারা কেবল রকেট দিয়েছে হামাসকে।” তবুও, তিনি বলেন, “যারা ইসরায়েলের ওপর হামলা চালাবে, আমি তাদের সমর্থন করি।”

আরেক ফিলিস্তিনি, আলা সালেহ, যিনি পাঁচ সন্তানের জনক, বলেন, “গাজায় যুদ্ধ থামেনি। প্রতিদিন মৃত্যু, ক্ষুধা ও বাস্তুচ্যুতির মধ্যে বাস করছি। কিন্তু এখন মিডিয়া ও বিশ্ব সবার নজর চলে গেছে ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের দিকে।”

গাজাবাসীদের ভয়, এই আন্তর্জাতিক মনোযোগ সরে গেলে তাদের কষ্ট আরও বেড়ে যাবে। কারণ, বিশ্বের করুণা আর মনোযোগই ছিল তাদের শেষ ভরসা।

news