সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০২৫ সালের জন্য ৮৯৩ বিলিয়ন ডলারের একটি প্রতিরক্ষা বাজেট প্রস্তাব করেছেন, যাতে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানের সংখ্যা কমানোর পাশাপাশি ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র ও স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে। এই প্রস্তাব বর্তমান বাইডেন প্রশাসনের চেয়ে ৪৩ বিলিয়ন ডলার বেশি এবং মার্কিন সামরিক কৌশলে বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
ট্রাম্পের উপদেষ্টাদের মতে, উচ্চমূল্যের যুদ্ধবিমানের চেয়ে সাশ্রয়ী কিন্তু বিপুল সংখ্যক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র শত্রুপক্ষের জন্য বেশি কার্যকর হুমকি তৈরি করবে। সম্ভাব্য জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এলব্রিজ কোলবি জানান, "আমরা সস্তা, দ্রুত উৎপাদনযোগ্য ও অত্যাধুনিক প্রযুক্তির দিকে ঝুঁকছি, যা যুদ্ধক্ষেত্রে আমেরিকাকে শ্রেষ্ঠত্ব দেবে।"
এই প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে লকহিড মার্টিনের মতো এফ-৩৫ নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, অন্যদিকে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলো লাভবান হবে। বিশেষ করে জেনারেল অ্যাটোমিকস, আরটিএক্স এবং এআইভিত্তিক প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর জন্য নতুন দরজা খুলবে।
ট্রাম্পের এই পরিকল্পনা তার 'আমেরিকা ফার্স্ট' নীতির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ, যা সামরিক শক্তিকে আরও গতিশীল ও প্রযুক্তিনির্ভর করতে চায়। তবে এটি এখনই চূড়ান্ত নয়—নভেম্বরের নির্বাচনে জয়ী হলে কংগ্রেসে আলোচনার মাধ্যমে এটি চূড়ান্ত রূপ পাবে। ইতিমধ্যেই এই প্রস্তাব যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা নীতি ও শিল্পখাতে বিতর্কের সৃষ্টি করেছে।


