ভারতে টুইটারের প্রায় সমস্ত কর্মীকেই ছেঁটে ফেললেন মাস্ক! রেহাই পেলেন কারা

মালিকানা হাতে পাওয়ার পর থেকেই ছাঁটাই অভিযান (Twitter job cuts) শুরু করেছিলেন টুইটার-কর্তা ইলন মাস্ক (Elon Musk)। তার থেকে নিস্তার পেলেন না ভারতে মাইক্রোব্লগিং সাইটটিতে কর্মরতরাও (India staffs)। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই টুইটারের প্রায় সমস্ত ভারতীয় কর্মীকেই চাকরি থেকে বাদ দিয়েছেন (fired) মাস্ক।
তাঁদের অনেকেই একথা জানানোর মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছেন টুইটারকেই। কাজ খোয়ানোর পরেই টুইট করেছেন সাইটটির ভারতের পাবলিক পলিসি দলের সদ্য প্রাক্তন সদস্য যশ আগরওয়াল। ‘এই মাত্র আমাকে বাদ দেওয়া হল। এই দলের সদস্য হিসেবে কাজ করতে পারা আমার কাছে অত্যন্ত সম্মানজনক ছিল,’ জানিয়েছেন যশ।
যদিও, ভারতের ঠিক কতজন কর্মীকে চাকরি থেকে ছাঁটাই করা হয়েছে তা সঠিকভাবে জানা যায়নি। তবে সূত্রের খবর, যাঁদের বাদ দেওয়া হয়েছে, তাঁদের অধিকাংশই সেলস, মার্কেটিং, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং পার্টনারশিপ বিভাগের কর্মী ছিলেন। তবে সেলস এবং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের কিছু কর্মীকে এখনও চাকরিতে রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে।
মালিকানা হাতে পেয়ে সঙ্গে সঙ্গেই টুইটারে সিইও পরাগ আগরওয়ালকে বরখাস্ত করেছিলেন ইলন মাস্ক। এরপরেই জানা গিয়েছিল, সংস্থাটির প্রায় ৫০% কর্মীকেই বাদ দিতে চলেছেন তিনি। টুইটারের উচ্চপদস্থ বেশ কিছু কর্মীকে দিনে ১২ ঘণ্টা করে, এবং সপ্তাহে ৭ দিন কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছিল সংবাদসংস্থাগুলির সূত্রে। এর জন্য যে তাঁদের বেতন বাড়ানো হবে, এমন কোনও কথাও ঘোষণা করা হয়নি। বরং ডেডলাইনের মধ্যে কাজ শেষ করতে না পারলে তাঁদেরও চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হবে বলে জানানো হয়েছে। 
শুক্রবার সকালেই সংস্থাটির তরফে সকল কর্মীকে জানানো হয়, ই-মেল মারফত কিছুক্ষণের মধ্যেই সকলকেই জানিয়ে দেওয়া হবে, কবে দরখাস্ত করা হবে তাঁদের। এরপরেই বিশ্বজুড়ে টুইটারের কার্যালয়গুলি সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়।
জানা গেছে, মাস্ক টুইটারের ৩ হাজার ৭০০ কর্মীকে ছেঁটে ফেলার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছেন। খরচ কমানোর উদ্দেশ্যেই এই গণ-ছাঁটাই অভিযান চালানো হচ্ছে বলে জানা গেছে। টুইটারের তরফে এও জানানো হয়েছে, যে সমস্ত কর্মীকে বরখাস্ত করা হবে না, ই-মেল মারফত সেই খবর পৌঁছে দেওয়া হবে তাঁদের কাছে।

” খবর দ্য ওয়ালের /এনবিএস/২০২২/একে

news