চীনে ২৭ বছরের গ্যাস রপ্তানি চুক্তি করল কাতার

চীনের সঙ্গে কাতার গ্যাস রপ্তানির চুক্তি এমন এক সময় করল যখন রাশিয়া দেশটিতে সর্বোচ্চ পরিমানে গ্যাস রপ্তানি করছে। এরফলে চীনের জালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত হল অনেকখানি। কাতার এনার্জির প্রধান সাদ আল-কাবি রয়টার্সকে বলেন, চীনের সিনোপেক কোম্পানির সঙ্গে এলএনজি রপ্তানির এ চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। 

কাতারের নর্থ ফিল্ড ইস্ট প্রজেক্ট থেকে বছরে ৪০ লাখ টন এলএনজি রপ্তানি করা হবে। এ গ্যাসক্ষেত্রটি ইরানের সঙ্গে ভাগাভাগি করে কাতার গ্যাস রপ্তানি করে। বিশে^র সবচেয়ে বড় গ্যাস ক্ষেত্র এটি। এ চুক্তি চীন ও কাতার উভয় পক্ষের জন্যে জরুরি ও গুরুত্বপূর্ণ। গ্যাস ক্ষেত্রটি থেকে ৬টি এলএনজি ট্রেনে জালানি রপ্তানি সম্প্রসারণ প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এর ফলে ২০২৭ সাল নাগাদ বছরে ১২৬ মিলিয়ন টন সরবরাহ করা সম্ভব হবে। এখন বছরে এ গ্যাস ক্ষেত্র থেকে ৭৭ মিলিয়ন এলএনজি সরবরাহ করা হচ্ছে।

এদিকে রাশিয়া চীনে গ্যাস ও তেল রপ্তানি সর্বোচ্চ পরিমানে বৃদ্ধি করছে। চীনে রাশিয়ার গ্যাস রপ্তানি বৃদ্ধি পেয়েছে এবছর ৩২ শতাংশ। আর্থিক মূল্যে এ রপ্তানি ৫.৩ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। অস্ট্রেলিয়া, কাতার, মালয়েশিয়ার পর রাশিয়া এখন চীনে চতুর্থ গ্যাস ও তেল রপ্তানিকারক দেশ হয়ে উঠছে। তবে রাশিয়ায় অস্ট্রেলিয়া ও মালয়েশিয়ার গ্যাস রপ্তানি হ্রাস পেয়েছে। রাশিয়া থেকে চীনের তেল আমদানি সাড়ে ৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে সৌদি আরবের পরই রাশিয়া চীনে দ্বিতীয় তেল রপ্তানিকারক দেশে পরিণত হয়েছে। ইউক্রেন যুদ্ধে পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার বিরুদ্ধে যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে- তারফলে আন্তর্জাতিক বাজারের চেয়ে হ্রাসকৃত মূল্যে তেল বিক্রি করছে রাশিয়া। 

news