তুর্কি বিমান হামলায় সিরিয়ার তেল স্থাপনার মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে: মন্ত্রী
সিরিয়ার তেল ও খনিজ সম্পদমন্ত্রী বাসাম তোহমে বলেছেন, তার দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে কুর্দি সশস্ত্র গোষ্ঠী ওয়াইপিজির কথিত অবস্থানে তুরস্ক যে বিমান হামলা চালিয়েছে তাতে সিরিয়ার তেল স্থাপনাগুলোর ‘মারাত্মক ক্ষতি’ হয়েছে।
তিনি গতরাতে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “উত্তর সিরিয়ায় তুরস্কের বর্বরোচিত আগ্রাসনে আমাদের তেল স্থাপনাগুলোর ভয়াবহ ক্ষতি হয়েছে।” তিনি বলেন, একটি গ্যাসক্ষেত্র লক্ষ্য করে সরাসরি হামলা চালানো হয়েছে যার ফলে ওই ক্ষেত্র থেকে গ্যাস উৎপাদন বন্ধ করে দিতে হয়েছে।
সিরিয়ার তেলমন্ত্রী বলেন, ওই গ্যাসক্ষেত্র থেকে অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটানোর জন্য ১৫০ টন প্রাকৃতিক গ্যাস পরিশোধন করা হতো এবং একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ১০ লাখ ঘনমিটার গ্যাস সরবরাহ করা হতো। বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ গোটা হাসাকা প্রদেশের চাহিদা পূরণ করত।
তোহমে বলেন, তুর্কি বিমান হামলায় অনেকগুলো জ্বালানি স্টেশনেরও ক্ষতি হয়েছে। বহু তেলের আধার বিস্ফোরিত হয়েছে এবং এর ফলে উল্লেখযোগ্য মাত্রায় দূষণ ছড়িয়ে পড়েছে।
তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান গত সপ্তাহে বলেছিলেন, সিরিয়ায় অচিরেই চতুর্থ অবৈধ স্থল অভিযান চালাতে যাচ্ছে তার দেশ। তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, “আমরা গত কয়েক দিন ধরে আমাদের যুদ্ধবিমান, কামান ও ড্রোন দিয়ে সন্ত্রাসীদের ওপর আঘাত হেনে যাচ্ছি।” সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে অবস্থানরত কুর্দি মিলিশিয়াদের বিরুদ্ধে বিমান হামলার প্রতি ইঙ্গিত করে এরদোগান একথা বলেন।
২০১৬ সাল থেকে তুর্কি সেনাবাহিনী সিরিয়ার অভ্যন্তরে কুর্দি মিলিশিয়াদের বিরুদ্ধে তিনটি অবৈধ অভিযান চালিয়েছে। মূলত পিপলস প্রোটেকশন ইউনিট বা ওয়াইপিজি’র গেরিলাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর অজুহাতে সিরিয়ায় আগ্রাসন চালায় তুর্কি বাহিনী। আঙ্কারা দাবি করছে, গত কয়েক দশক ধরে কুর্দিদের জন্য একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে সশস্ত্র লড়াইরত কুর্দি বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী পিকেকের সঙ্গে ওয়াইপিজি’র সম্পর্ক রয়েছে।
।খবর পার্সটুডে/এনবিএস/২০২২/একে