অর্থনৈতিক সংকটের মুখে ঔষধের দাম ৪০ শতাংশ বাড়িয়েছে শ্রীলংকা
ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মুখে এ নিয়ে ষষ্ঠ সপ্তাহের তো সাধারণ ব্যবহৃত ঔষধের দাম বাড়িয়েছে শ্রীলংকা। অ্যান্টিবায়োটিক, নির্দিষ্ট কিছু পেইনকিলার ও হৃদরোগ জনিত ঔষুধের দাম ৪০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে।
ঔষধের দাম নাগালবিহীন হওয়ায় দেশটির নাগরিকরা বাধ্য হয়ে ঔষধ কমিয়ে দিতে বাধ্য হচ্ছেন বা সরবরাহের জন্য বিদেশের ওপর নির্ভর করছেন। সরকার বলেছে, ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্যের দাম ছাড়া তাদের কাছে আরো কোনো বিকল্প পদ্ধতি নেই।
শ্রীলংকার মন্ত্রী নালাকা গোদাওয়া বলেন, ‘সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে কিছু করছে না। রুপির অবমূল্যায়ন এবং বেশিরভাগ ঔষধ বেসরকারী খাত আমদানি করায় সরকারের এখানে কোনো সুযোগ নেই, অন্যথায় ঔষুধের বড় সংকট তৈরি হতো।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, ঔষধের অপ্রতুলতার কারণে মানুষ প্রেসক্রিপশনে দেয়া ঔষধের চেয়ে কম কিনতে পারে। কলম্বোর ফার্মাসি দোকানের মালিক রুচিরা হেওয়াসাম বলেন, ‘পরিস্থিতি খুবই খারাপ। সাধারণত অ্যান্টিবায়োটিক পাঁচদিনের জন্য দেয়া হয় কিন্তু মানুষ দুই থেকে তিন দিনের বেশি নিচ্ছে না।’
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দিন দিন পড়তির মুখে থাকায় বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে শ্রীলংকা। এর মধ্যে রয়েছে খাদ্য ও ঔষধের মতো নিত্য প্রয়োজনীয় কিছু পণ্য আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা।