তেহরানে নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূতকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব

সুইডেনে ভিত্তিহীন অভিযোগে একজন ইরানি নাগরিককে আটক করে রাখার কারণে তেহরানে নিযুক্ত সুইডিশ রাষ্ট্রদূতকে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়েছে। হামিদ নুরি নামের ওই ইরানি নাগরিক ইরানের বিচার বিভাগের সাবেক কর্মকর্তা। সুইডেনের আদালতে তার বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

১৯৮৮ সালে ইরানে কারাবন্দি নির্যাতনের কথিত অভিযোগে সুইডেনের সরকারি কৌসুলিরা হামিদ নুরির সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আবেদন জানিয়েছেন। ইরানের ইসলামি শাসনব্যবস্থা বিরোধী সন্ত্রাসী গোষ্ঠী মুজাহেদিনে খালক বা এমকেও’র পক্ষ থেকে উত্থাপিত অভিযোগেই মূলত হামিদ নুরির বিচার করা হচ্ছে।

ইরানের বিচার বিভাগের সাবেক কর্মকর্তা নুরি ২০১৯ সালে ব্যক্তিগত কাজে সুইডেন গেলে তাকে আটক করা হয়।বর্তমানে ৬১ বছর বয়সি হামিদ নুরিকে কারাগারের নির্জন সেলে আটক রাখা হয়েছে এবং বিগত দুই বছরে পরিবারের সদস্যদেরকে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে দেয়া হয়নি। এমকেও অভিযোগ করেছে, ১৯৮৮ সালে এই গোষ্ঠীর সদস্যদেরকে ইরানের কারাগারে নির্যাতন ও ফাঁসি দেয়ার ঘটনায় হামিদ নুরি জড়িত ছিলেন। নুরি কঠোর ভাষায় তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন।

গত শুক্রবার তার বিচারের ৮৯তম শুনানির দিন সুইডিশ সরকারি কৌসুলিরা তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়ার অনুরোধ জানান। এরপর গতকাল (রোববার) তেহরানে নিযুক্ত সুইডিশ রাষ্ট্রদূত ম্যাটিস লেন্টজকে ইরানের পররাষ্ট্র দফতরে তলব করা হয়। এ সময় তার কাছে হামিদ নুরির বিরুদ্ধে আনীত ‘ভিত্তিহীন ও পক্ষপাতদুষ্ট’ অভিযোগের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়।

মন্ত্রণালয় নুরির আটকাদেশকে ‘সম্পূর্ণ অবৈধ’ আখ্যা দিয়ে বলা হয়, এমকেও ইরানের বিরুদ্ধে বিদ্বেষী অপপ্রচার চালাচ্ছে এবং সুইডেন সরকার সেই বিদ্বেষী আচরণের শিকারে পরিণত হয়েছে। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, সুইডেন সরকার যেন অবিলম্বে এই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিচার বন্ধ করে নুরিকে সসম্মানে মুক্তি দেয়।খবর পার্সটুডের/এনবিএস/২০২২/একে

news