জ্বালানী সংকট কাটাতে এলএনজির চুক্তি করছে সরকার

 জ্বালানী সংকট কাটানোর বিভিন্ন দেশের সাথে সরকার এবার স্থায়ী এলএনজি (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) চুক্তির চেষ্টা করছে। তবে কোম্পানিগুলোর সঙ্গে চুক্তির বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। শিগগিরই বিষয়টি চূড়ান্ত হবে বলে আশা করছে পেট্রোবাংলা।

দীর্ঘমেয়াদে এলএনজি কেনার জন্য ব্রুনাইয়ের সঙ্গে শিগগিরই চুক্তির আশা করছে সরকার। ব্রুনাই ছাড়াও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের আরও কিছু কোম্পানির সঙ্গে সরকার যোগাযোগ করছে।

জ্বালানী খাতে আমাদের দেশীয় গ্যাসের উৎপাদন কমতে শুরু করেছে। এই ঘাটতি মেটাতে সরকার বিদেশ থেকে এলএনজি আমদানির উদ্যোগ নিয়েছে। আমদানি করে আনা এলএনজি দেশে রিগ্যাসিফিকেশন করা হয়, পরে সঞ্চালন লাইনে সরবরাহ করা হয়। শিল্প খাতে, বিদ্যুৎ উৎপাদনে, গৃহস্থালী কাজে বা চুলায়, সিএনজি স্টেশনসহ গ্যাসের ব্যবহার হয় যেসব খাতে, সব খাতেই এলএনজি ব্যবহার করা হচ্ছে।

সরকার গতবছর এক হাজার মিলিয়ন টন এলএনজি আমদানি করতে চাইলেও এর পরিমাণ ছিল ৫ দশমিক ৫ মিলিয়ন টন। তবে আগামী বছর এই পরিমাণ এলএনজি আমদানি নিয়েও শঙ্কা তৈরি হয়েছে। স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আনা সম্ভব না হলে এক দশমিক ১২ মিলিয়ন টন এলএনজি কম আসবে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই পরিস্থিতিতে দেশে যে পরিমাণ জ্বালানি সংকট তৈরি হবে তা মোকাবিলা করা কঠিন হয়ে উঠতে পারে। তা জন্য সরকারকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে তরল জ্বালানির ব্যবহার বাড়াতে হবে। এই তরল জ্বালানি নির্ভর বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যয় অত্যাধিক হওয়ায় এবার ফোর্স লোডশেডিং করেছে সরকার।

পেট্রোবাংলা বলছে, স্থায়ী বা দীর্ঘমেয়াদি চুক্তিতে বছরে কাতার ও ওমানের কাছ থেকে ৩ দশমিক ৯৩ মিলিয়ন এলএনজি পেয়ে থাকে সরকার। প্রতিদিন যা দিয়ে গড়ে ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা সম্ভব হয়। কিন্ত এলএনজি সরবরাহের পরিমাণ বাড়াতে হলে স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি কেনার পরিমাণ বাড়াতে হবে।

এই বিষয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানান, সহযোগিতার ক্ষেত্র বাড়াতে ব্রুনাইয়ের বৈঠকে ফলপ্রসূ আলোচনা করা হয়েছে। ব্রুনাই দারুসসালাম হতে বার্ষিক ১ থেকে ১ দশমিক ৫ মিলিয়ন মেট্রিক টন এলএনজি ২০২৩ সালের প্রথম থেকেই পেতে চাচ্ছি।

জ্বালানী বিভাগ সূত্র জানায়, ১০-১৫ বছর মেয়াদী এলএনজি চুক্তি হতে পারে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে ব্রুনাই থেকে বছরে গড়ে ২ লাখ ১০ হাজার মেট্রিক টন ডিজেল ডেফার্ড পেমেন্টে আমদানির বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। এসব বিষয়ে নতুন করে চুক্তি করতে হবে।

এনবিএস/ওডে/সি

news