ভারতীয় গণমাধ্যমে বাংলাদেশকে নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে ঠিক তখন বাংলাদেশের সাবেক সংসদ সদস্য জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ ভারতীয় এক গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বললেন।
ওই অনুষ্ঠানের উপস্থাপিকা দিবিকা চোপড়ার বিভিন্ন অসংলগ্ন প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন তিনি ভারতীয় ওই গণমাধ্যমটির ইচ্ছাই ছিল বাংলাদেশের সাবেক সংসদ সদস্য আন্দালিব রহমান পার্থ কে ডেকে তাকে হেনস্থা করার।
কিন্তু পার্থ তো এত সহজে হেনস্থা হওয়ার পাত্র নন তিনি প্রমাণ করেছেন বাংলাদেশের হিন্দুরা মোটেও অনিরাপদ নন। বাংলাদেশের হিন্দুরা ভালো আছেন তারা কোনরকম আক্রমণের শিকার হচ্ছেন না।
উপস্থাপিকার প্রথম প্রশ্নটি এরকম ছিল বাংলাদেশের হিন্দুদের মন্দির এবং তাদের বাড়িঘরে আক্রমণ করা হচ্ছে, পার্থর কাছে জানতে চাওয়া হয় এ ব্যাপারে আপনি কি বলছেন প্রশ্নের উত্তরে আন্দালিব রহমান পার্থ বলেছেন, আপনি কি দেখেছেন ইসকনের চরমপন্থীরা বাংলাদেশের একজন একজন আইনজীবীকে কিভাবে হত্যা করেছে।
১৯ কোটি মুসলিমের দেশে যেভাবে একজন মুসলিম আইনজীবীকে হত্যা করা হয়েছে, দিনে দুপুরে তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে এরপরও বাংলাদেশের জনগণ এবং রাজনীতিবিদরা মাথা ঠান্ডা রেখেছেন।
তার জন্য বাংলাদেশের জনগণ এবং রাজনীতিবিদদের বাহবা পাওয়া উচিত। পার্থ এও যোগ করেন বাংলাদেশের কোথাও হিন্দুদের উপর আক্রমণ করা হয়নি। ৫ আগস্ট আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পতনের পর বাংলাদেশের মানুষ আওয়ামী লীগের ওপর ক্ষোভ ঝেড়েছে।
কোন নির্দিষ্ট ধর্মালম্বীদের এটা পরিষ্কার হতে হবে গত ১৭ বছরে বাংলাদেশের মানুষকে যেভাবে খুন-গুম হত্যা মামলা দিয়েছে ও কথা বলার অধিকার হরণ করা হয়েছে, তারই বহিঃপ্রকাশ ছিল এই ক্ষোভ।
নির্দিষ্ট করে হিন্দুদের উপর কোন আক্রমণ করা হয়নি। উপস্থাপিকার এক প্রশ্নের জবাবে আন্দালিব রহমান পার্থ পরিষ্কার করে বলেন গত ১৭ বছরে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির উপর ইন্ডিয়ার হস্তক্ষেপ ছিল। আন্দালিব রহমান পার্থ বলেন ভারতকে বুঝতে হবে বাংলাদেশের মানুষের পালস।
গত ১৭ বছর শুধুমাত্র ভারত একটি দলের সঙ্গেই সম্পর্ক রেখেছেন, যেই ফ্যাসিবাদ সরকারের সাথে বাংলাদেশের মানুষ মোটেই ভালো ছিল না কিন্তু ভারত ও ভারতের সরকার ফ্যাসিবাদের সাথে সম্পর্ক রেখেছিল এছাড়াও আন্দালিব রহমান পার্থ আরো বেশ কিছু প্রশ্নের জবাব মোক্ষম জবাব দিয়ে তিনি পরিষ্কার করে তুলেছেন।
বলা যেতেই পারে ভারতের সংবাদ মাধ্যম গুলোর অপপ্রচার পার্থ একাই রুখে দিয়েছেন।