চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির আমন্ত্রণে বিএনপি-সহ আটটি রাজনৈতিক দলের ২২ সদস্যের প্রতিনিধিদল গত সোমবার চীন সফরে গেছে। এই সফরে জাতীয় নাগরিক কমিটির (জানাক) দুই সদস্য, আলী আহসান জোনায়েদ এবং রাফে সালমান রিফাত, অংশগ্রহণ করছেন। তবে জাতীয় নাগরিক কমিটি এই সফরের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্পর্কিত নয় এবং তাদের কোনো সদস্য এই সফরে প্রতিনিধি হিসেবে অংশ নেয়নি, এমনটি জানিয়েছে সংগঠনটি।
এদিকে, চীনে সফররত জোনায়েদ ও রিফাত ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে জানান, তাদেরকে ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, জাতীয় নাগরিক কমিটির প্রতিনিধি হিসেবে নয়। দুজনেই ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক নেতা।
এছাড়া, জাতীয় নাগরিক কমিটি এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে আত্মপ্রকাশ করতে যাওয়া নতুন রাজনৈতিক দলে আলী আহসান জোনায়েদ বড় পদ পেতে যাচ্ছেন, এমন গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল। কিন্তু জোনায়েদ নিজেই ফেসবুকে লিখেছেন, তিনি নতুন দলে যোগ দিচ্ছেন না। তিনি আরো বলেন, বৃহত্তর ঐক্যের স্বার্থে এবং জাতির নজর নতুন দলের ওপর নিবদ্ধ রাখতেই তিনি নীরবতা অবলম্বন করেছিলেন। তিনি তার পোস্টে নতুন দলের প্রতি শুভকামনা জানিয়েছেন, তবে দলটির জন্য গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অনুসরণ ও দুর্নীতি মুক্ত নতুন ধারার রাজনৈতিক সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
রিফাতও তার ফেসবুক পোস্টে জানান, ২৮ ফেব্রুয়ারি ঘোষিত নতুন রাজনৈতিক দলে তিনি থাকবেন না, তবে তার রাজনৈতিক পথচলা থেমে থাকবে না। তিনি মনে করেন, নতুন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় তাদের লড়াই চলতে থাকবে।
এই আলোচনা ও পোস্টগুলোর মাধ্যমে, নতুন রাজনৈতিক দলের গঠন এবং সাবেক ছাত্রশিবির নেতাদের নিয়ে দলটির গঠনপ্রক্রিয়া নিয়ে মতভেদ ও বিতর্ক উত্থাপিত হয়েছে।


