বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ১৩তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সৎ ও ত্যাগী নেতাকর্মীদের যথাযথ মূল্যায়নের মাধ্যমে বিজয়ের পথে এগিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে। একই সঙ্গে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি দ্রুততম সময়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে দলটি।
বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত বর্ধিত সভায় লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি বক্তৃতা করেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সভায় দেশব্যাপী তিন হাজারেরও বেশি কেন্দ্রীয় ও তৃণমূল নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন। সাত বছর পর অনুষ্ঠিত এই গুরুত্বপূর্ণ সভায় মোট ১০টি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
গৃহীত সিদ্ধান্তে দলীয় নেতাকর্মীদের জনগণের কাছে পৌঁছানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। বিএনপি নেতাদের দুর্নীতি ও দলীয় কোন্দল থেকে দূরে থাকার কঠোর নির্দেশ দেওয়া হয়। সভায় জানানো হয়, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কার্যক্রমে সহায়তা করাই গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার অন্যতম শর্ত।
সভায় বিএনপির ৩১ দফা রাষ্ট্র সংস্কার রূপরেখা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে একত্রে কাজ করার ওপর জোর দেওয়া হয়। সভায় আরও বলা হয়, জনগণের মৌলিক অধিকার ও ভোটাধিকার প্রায় দেড় যুগ ধরে সংকুচিত হয়ে পড়েছে। তাই একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের প্রকৃত সরকার প্রতিষ্ঠার দাবি সময়ের প্রয়োজন।
ফ্যাসিবাদী শাসনের অবসান, গায়েবি মামলা প্রত্যাহার, দখলদার ও সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তোলা, এবং বিদেশে বসে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়ে সভায় কড়া বার্তা দেওয়া হয়।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে আন্দোলন, সংগঠনের পুনর্গঠন ও বৃহত্তর ঐক্য গঠনের প্রশংসা করে এই সভা তাকে কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধা জানায়।


