বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করতে আত্মপ্রকাশ করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি, যার নেতৃত্বে রয়েছেন নাহিদ ইসলাম। ২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা শিক্ষার্থীদের উদ্যোগেই এই দল গঠিত হয়েছে। যদিও নতুন দলের অভ্যন্তরীণ কাঠামো নিয়ে নানা আলোচনা রয়েছে, তবে নেতৃত্ব নির্বাচনের ক্ষেত্রে কোনো দ্বন্দ্ব হয়নি—সবাই একবাক্যে নাহিদকেই নেতা হিসেবে বেছে নিয়েছে।
২৬ বছর বয়সী নাহিদ ইসলাম ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনে তিনি প্রথমবার আলোচনায় আসেন, যদিও তখন সরাসরি নেতৃত্বে ছিলেন না। পরে ২০১৯ সালে ডাকসু নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এবং ২০২৩ সালে গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির কেন্দ্রীয় নেতা হন।
২০২৪ সালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হিসেবে তিনি আরও পরিচিতি লাভ করেন। এই আন্দোলন পরবর্তীতে সরকার পতনের দাবিতে রূপ নেয় এবং শেখ হাসিনার সরকার পতনের অন্যতম রূপকার হয়ে ওঠেন নাহিদ ইসলাম।
২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনের সময় নাহিদ ইসলামকে রাষ্ট্রীয় বাহিনী তুলে নিয়ে যায় এবং শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে। পরে একটি প্রচারিত ভিডিও বার্তায় তাকে আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দিতে বাধ্য করা হয়, যদিও মুক্তি পাওয়ার পর তিনি জানান যে এটি তার উপর চাপ প্রয়োগ করেই করানো হয়েছিল।
জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব বলেন, _“সাংগঠনিক দক্ষতা, রাজনৈতিক বোঝাপড়া এবং জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ততার কারণে নাহিদ ইসলামই ছিলেন সেরা পছন্দ।”_
গণঅভ্যুত্থানের মুখ হয়ে ওঠার পাশাপাশি স্বেচ্ছায় ক্ষমতা ছাড়ার নজির গড়ায় তার জনপ্রিয়তা আরও বাড়ে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, নতুন রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে এনসিপির ভবিষ্যৎ এখন নাহিদ ইসলামের কৌশল ও নেতৃত্বের ওপর নির্ভর করছে।


