জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবু হানিফ সম্প্রতি তার পদ থেকে পদত্যাগ করে গণঅধিকার পরিষদের সপদে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার, এনসিপির শীর্ষ নেতার কাছে নিজের পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে তিনি ঘোষণা করেন, “আমি এনসিপি থেকে পদত্যাগ করে গণঅধিকার পরিষদের সপদে ফিরে এসেছি।” তাঁর এই স্পষ্ট বার্তা রাজনৈতিক মঞ্চে এক নতুন ঢেউ সৃষ্টি করেছে।

হানিফের এই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত দেশের রাজনৈতিক জগতে আলোড়ন তুলতে বাধ্য করেছে। তাঁর আগের দল, গণঅধিকার পরিষদ, যেখানে তিনি উচ্চতর পরিষদের সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছিলেন, সেই দলের প্রতি তাঁর আগ্রহ এবং প্রতিশ্রুতি স্পষ্ট। হানিফ বলেছেন, “আমাদের সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমাকে এমন একটি প্ল্যাটফর্মে ফিরে যেতে হয়েছে, যেখানে গণতন্ত্রের সঠিক মানদণ্ড বজায় রাখতে পারবো।”

এই পদক্ষেপের পূর্বে এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ এক টকশোতে দাবি করেছিলেন, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর তাঁর দলের বিলুপ্তির প্রক্রিয়া শুরু করে এনসিপিতে যোগ দিতে চান। যদিও এ দাবিকে নেতৃবৃন্দ ভুল বললেও, তা রাজনৈতিক অস্থিরতার চিত্র তুলে ধরে। মাসউদের এই বক্তব্যের পর তিনি আরও কয়েকজন ছাত্রনেতা—আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও মাহফুজ আব্দুল্লাহ—কে পদত্যাগের আহ্বান জানান।

হানিফের পদত্যাগ শুধু তাঁর নিজস্ব রাজনৈতিক পথচলারই পরিবর্তন নয়, বরং বাংলাদেশের রাজনৈতিক ক্ষেত্রের অভ্যন্তরে নতুন স্বচ্ছতা ও সমন্বয়ের আহ্বানকে সামনে নিয়ে আসে। তাঁর প্রত্যাবর্তন গণঅধিকার পরিষদের মাধ্যমে নতুন প্রজন্মের প্রত্যাশা ও উদ্দীপনা বহন করে, যা দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে আরো সুদৃঢ় করতে সহায়ক হতে পারে। এই পরিবর্তনের আলোকে, রাজনৈতিক পর্যায়ে তরুণ ও প্রতিশ্রুতিবাদী নেতৃত্বের আগমন দেশের ভবিষ্যতের জন্য আশাব্যঞ্জক।

news