পবিত্র ঈদুল আযহার ছুটির পূর্বে শ্রমিকদের বেতন ও উৎসব ভাতা পরিশোধের জন্য মালিকদের প্রতি আহ্বান এবং অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে কর্মরত শ্রমিকদের জন্য রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বিশেষ ঈদ ভাতা প্রদানের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া।
বুধবার (৬ জুলাই) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় এ আহ্বান জানান।
তারা বলেন, দেশের অধিকাংশ মানুষ শ্রমজীবী। তারা খুব সামান্য আয়ে দৈনন্দিন জীবন-যাপন করে। বর্তমান বাজারের তুলনায় শ্রমিকের শ্রমমূল্য অতি নগণ্য। ফলে শ্রমজীবী মানুষদের সঞ্চয় বলে কিছু থাকে না। ঈদের সময় সন্তান ও পরিবার-পরিজনের জন্য ভালো খাবার তুলে দেওয়ার জন্য শ্রমিকদেরকে উৎসব ভাতার ওপর নির্ভর করতে হয়। শ্রমিকরা যে উৎসব ভাতার দিকে সারা বছর চেয়ে থাকে সেই উৎসব ভাতা নিয়ে মালিকরা প্রতি বছর টালবাহানা করে। যা দেশের জন্য যেমন লজ্জার ঠিক তেমনিভাবে প্রতিটি শ্রমিকের জন্য কষ্টদায়ক।
নেতৃদ্বয় বলেন, দেশের একটি বৃহৎ অংশ শ্রমিকরা অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে কর্মরত রয়েছে। এই সকল শ্রমিক উৎসব ভাতা বঞ্চিত। রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক চাকা সচল রাখতে প্রাতিষ্ঠানিক খাতে কর্মরত শ্রমিকদের পাশাপাশি অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে কর্মরত শ্রমিকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে কর্মরত শ্রমিক তালিকা প্রণয়নপূর্বক তাদের জন্য রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে উৎসব ভাতা প্রদান করতে হবে। ভুলে গেলে চলবে না দেশের প্রতিটি শ্রমিকের মুখে হাসি ফোটানো রাষ্ট্রের অন্যতম দায়িত্ব।
তারা বলেন, সিলেট ও উত্তরবঙ্গসহ দেশের একটি বৃহৎ অংশে এখনো ভয়াবহ বন্যা চলছে। বন্যার কারণে অসংখ্য শ্রমিক কর্মহীন অবস্থায় আছে। এই সকল শ্রমিকের জন্য রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে বিশেষ বরাদ্দ দিতে হবে। বন্যাদুর্গত মানুষের জন্য ত্রাণ কার্যক্রম জোরদার করতে হবে। যতদিন না কর্মহীন শ্রমিক তার কর্মক্ষেত্রে ফিরতে পারছে ততদিন পর্যন্ত তাদের দৈন্দদিন খাবার, ওষুধ ও যাবতীয় খরচের ব্যয়ভার সরকারকেই বহন করতে হবে।