অবিলম্বে পানি ও ওষুধের মূল্যহ্রাসের দাবি জানিয়ে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেছেন, দেশবাসীর চরম দু:সময়ে পানি ও ওষুধের মুল্যবৃদ্ধি সাধারণ নাগরিকদের জন্য ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’।
মঙ্গলবার ( ১৯ জুলাই) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় এসব কথা বলেন।
তারা বলেন, এলাকাভিত্তিক পানির দাম নির্ধারণের প্রস্তাবে ওয়াসা ধনীদের কাছ থেকে বাড়তি দাম নেওয়ার প্রস্তাব করেছে তার সম্পূর্ণ অবাস্তব ও সংবিধান পরিপন্থি। এই পদ্ধতি চালু হলে দেখা যাবে, পানি শুধু তাঁরাই পাচ্ছেন, যাঁরা বেশি দামে কিনছেন। আর যাঁরা কম দামে পানি পাবেন, তাঁদের পানির গুণগত মান খারাপ হবে। শ্রেণিভিত্তিক পানি বিক্রি শুরু হলে দেখা যাবে নিম্ন আয়ের মানুষ ঠিকমতো পানি পাচ্ছেন না। পানির মূল্যবৃদ্ধি নয় প্রয়োজন আগে ওয়াসাকে সংস্কার করা। ওয়াসার অপচয়, দুর্নীতি, অমিতব্যয়িতা বন্ধ করা।
নেতৃদ্বয় বলেন, ঔষধ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ কেবলমাত্র ১১৭টি জেনেরিক ওষুধের মূল্য বৃদ্ধি করতে পারে। বাকি সব ওষুধের মূল্য উৎপাদনকারী ও আমদানিকারকরা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। গত কয়েক বছরে জীবন বাঁচানোর উপকরণ এই ওষুধের মূল্য দফায় দফায় বাড়িয়েছে তারা। দেশে প্রত্যেক পরিবারে মাসে গড়ে দুই থেকে আড়াই হাজার টাকার ওষুধ লাগে। সেখানে নিত্যপ্রয়োজনীয় ওষুধের মূল্য এভাবে বাড়ালে জীবনযাত্রায় ব্যাপক প্রভাব পড়বে।
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর কর্তৃক ৫৩টি অত্যাবশকীয় ওষুধের মূল্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করে বাংলাদেশ ন্যাপ নেতৃদ্বয় বলেন, সম্প্র্রতি জীবন রক্ষাকারী ওষুধের মূল্য ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও ড্রাগ প্রশাসন নির্বিকার এবং খুচরা বিক্রেতারা গ্রাহকদের মতোই অসহায়। মূল্য বৃদ্ধিতে বিপন্ন জনগণ এখন ভেজাল, মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধের কারণে প্রতিনিয়ত জীবন মৃত্যুর সংশয়ে রয়েছে।
তারা আরো বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে মূল্যস্ফীতির প্রভাব নিন্ম আয়ের মানুষকে চরম দুরবস্থায় নিপতিত করেছে। এমনিতেই করোনার কশাঘাতে চাকরিহারা, বেকার ও আয়-রোজগার কমে যাওয়া জনগোষ্ঠী দৈনন্দিন খরচের টাকা জোগাড় করতে হিমশিম খাচ্ছেন, এর মধ্যে মূল্যস্ফীতির চাপে বড় ধরনের ভোগান্তিতে পড়েছে অনেক পরিবার। এ অবস্থায় একসঙ্গে এতগুলো ওষুধের মূ্ল্যবৃদ্ধি তাদের জীবনে ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’ দেখা দিয়েছে, এতে কোনো সন্দেহ নেই।
নেতৃদ্বয় বলেন, চিকিৎসা এখন আর সেবাধর্মী কাজ নয়, এটি পরিণত হয়েছে বাণিজ্যের প্রধান উপকরণে, যার প্রকৃষ্ট উদারহরণ হলো ওষুধের দাম নিয়ে এমন অশুভ তৎপরতা। দেশের বিপুলসংখ্যক সাধারণ রোগীর স্বার্থে এ তৎপরতা বন্ধ হওয়া উচিত।