এএফসি বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের চতুর্থ রাউন্ডে সৌদি আরব ও ইরাকের কাছে হেরে শেষ হলো ইন্দোনেশিয়ার বিশ্বকাপের স্বপ্ন।
দলকে বিশ্বকাপে তুলতে ব্যর্থ হওয়ায় নেদারল্যান্ডস ও বার্সেলোনার সাবেক ফরোয়ার্ড প্যাট্রিক ক্লুয়িভার্ট জাতীয় দলের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেছেন। মাত্র নয় মাস আগে দায়িত্ব নেওয়া ক্লুয়িভার্ট ইন্দোনেশিয়া ফুটবল ফেডারেশন (পেএসএসআই)-এর সঙ্গে পারস্পরিক সমঝোতায় কোচিং ত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন।
এক বিবৃতিতে ফেডারেশন জানিয়েছে, “ক্লুয়িভার্টের বিদায় পারস্পরিক সমঝোতায় সম্পন্ন হয়েছে।”
ক্লুয়িভার্ট ইনস্টাগ্রামে আবেগঘন একটি পোস্টে লিখেছেন, “এক অবিস্মরণীয় যাত্রা ছিল এটি। যদিও আমরা বিশ্বকাপে যেতে পারিনি, তবুও আমরা যা করেছি তার জন্য গর্বিত। সৌদি আরব ও ইরাকের বিপক্ষে হার আমাদের জন্য তিক্ত শিক্ষা, কিন্তু স্বপ্নের সীমানাও স্মরণ করিয়ে দেয়। প্রধান কোচ হিসেবে আমি পুরো দায় নিচ্ছি।”
দুই বছরের চুক্তিতে চলতি বছরের জানুয়ারিতে দায়িত্ব নেওয়া ক্লুয়িভার্ট দক্ষিণ কোরিয়ার কোচ শিন তায়ে-ইয়ং-এর স্থলাভিষিক্ত হন। তার কোচিংয়ে ইন্দোনেশিয়া মোট ৮ ম্যাচ খেলে, জিতেছে ৩টি, হেরেছে ৪টি এবং একটি ম্যাচ ড্র।
খেলোয়াড়ি জীবন: ক্লুয়িভার্ট ইউরোপের শীর্ষ ক্লাবের হয়ে খেলেছেন। ১৯৯৫ সালে আয়াক্সের হয়ে ১৮ বছর বয়সে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে গোল করে তারকাখ্যাতি পান। এরপর খেলেছেন এসি মিলান, বার্সেলোনা, নিউক্যাসল ইউনাইটেড, ভ্যালেন্সিয়া ও পিএসভি আইন্দহোভেনে। জাতীয় দলের হয়ে ৭৯ ম্যাচে ৪০ গোল করেছেন, যা দীর্ঘদিন ডাচদের সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় শীর্ষে ছিল।
কোচিং ক্যারিয়ার: খেলোয়াড়ি জীবনের মতো উজ্জ্বল না হলেও বৈচিত্র্যময় ছিল। ২০১২-২০১৪ সালে নেদারল্যান্ডস জাতীয় দলের সহকারী কোচ, ২০১৬-১৭ সালে ক্যামেরুন জাতীয় দলের সহকারী কোচ হিসেবে আফকন জয়ের অবদান। প্যারিস সেন্ট জার্মেইনের ফুটবল ডিরেক্টর হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
২০২০-২১ সালে কিউরাকাও জাতীয় দলের অস্থায়ী কোচ, ২০২৩ সালে তুরস্কের আদানা দেমিরস্পোরের প্রধান কোচ ছিলেন, তবে মাত্র পাঁচ মাসে সেই অধ্যায় শেষ। সর্বশেষ ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় দলের প্রধান কোচ হন।
