আসরের সবচেয়ে সফল দল আর্জেন্টিনা ভালো খেলেনি, এমনটা বলা যাবে না। আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণের ম্যাচে দুর্দান্ত ফুটবল উপহার দিলেও সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়েছে আর্জেন্টাইন যুবারা। শেষ পর্যন্ত শক্তিশালী মরক্কোর সঙ্গে আর পেরে ওঠেনি তারা। আর্জেন্টিনাকে ২-০ গোলে হারিয়ে প্রথমবারের মতো ফিফা অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছে মরক্কো। আফ্রিকার এই দলটির হয়ে দুটি গোলই করেছেন তারকা ফুটবলার ইয়াসির জাবিরি।

শুরুতেই ধাক্কা খেল আর্জেন্টিনা
সোমবার (২০ অক্টোবর) চিলির সান্তিয়াগোর এস্তাদিও ন্যাসিওনাল জুলিও মার্টিনেজে মুখোমুখি হয় দু'দল। সপ্তমবারের মতো শিরোপা জয়ের স্বপ্ন নিয়ে মাঠে নেমেছিল আর্জেন্টিনা। বল দখলের লড়াইয়ে এগিয়ে থাকলেও কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পায়নি তারা। উল্টো মরক্কো যতবারই বলের নাগাল পেয়েছে, ততবারই আর্জেন্টাইন রক্ষণভাগে চাপ সৃষ্টি করেছে।

ম্যাচের শুরুতেই এগিয়ে যায় মরক্কো। ১২তম মিনিটে দলের হয়ে স্কোর শিটে নাম লেখান জাবিরি। তার দুর্দান্ত গোলে লিড পায় আফ্রিকার দেশটি। এর ঠিক ১৭ মিনিট পর, প্রিমেইরা লিগে খেলা এই উইঙ্গার ফের গোল করেন। ২-০ গোলের লিড নিয়ে বিরতিতে যায় মরক্কো।

বিরতির পর ম্যাচে ফিরতে মরিয়া হয়ে ওঠে আর্জেন্টিনা। কিন্তু মরক্কোর শক্তিশালী রক্ষণভাগকে ফাঁকি দিয়ে বল জালে জড়াতে ব্যর্থ হয় আলবিসেলেস্তে ফরোয়ার্ডরা।

মেসির ভক্তের গোল্ডেন পারফরম্যান্স!
ফাইনালে জোড়া গোলসহ টুর্নামেন্টে মোট ৫টি গোল করেছেন লিওনেল মেসির বড় ভক্ত ইয়াসির জাবিরি।

যৌথভাবে সর্বোচ্চ গোলদাতা হলেও গোল্ডেন বুট জিততে পারেননি জাবিরি, কিন্তু আসরজুড়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের জন্য তিনি জেতেন ‘সিলভার বল’। টুর্নামেন্টজুড়ে অসাধারণ ফুটবলের প্রদর্শনীতে মরক্কোর ওথমান মামা জেতেন সেরা ফুটবলারের পুরস্কার ‘গোল্ডেন বল’।

অন্যদিকে, ফাইনালের আগপর্যন্ত কোনো গোল হজম না করা আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক সান্তিনো বার্বি জেতেন ‘গোল্ডেন গ্লাভস’ পুরস্কার।

উল্লেখ্য, ডিয়েগো ম্যারাডোনা, লিওনেল মেসি, পল পগবা, আর্লিং হালান্ডের মতো কিংবদন্তি ফুটবলারদের ফুটবল বিশ্বের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে এই ফিফা অনূর্ধ্ব–২০ বিশ্বকাপ। এই মঞ্চ থেকেই তারকারা নিজেদের ফুটবল ক্যারিয়ারে প্রথম সিঁড়ি খুঁজে পান।

 

news