নোয়াখালীতে পরিবেশ ও ফসলি জমি ধ্বংসের অভিযোগে দুটি অবৈধ ইটভাটা গুঁড়িয়ে দিয়েছে প্রশাসন। পরিবেশ আইন লঙ্ঘন করায় ইটভাটার মালিকদের জরিমানা করা হয়েছে ৪ লাখ টাকা।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সুবর্ণচর উপজেলার পশ্চিম চরজব্বর ও চর বাইগ্যা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাহিন ব্রিকস এবং আল্লার দান ব্রিকস নামের দুটি অবৈধ ইটভাটা ধ্বংস করা হয়। পরিবেশ অধিদপ্তর ও উপজেলা প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত এই অভিযানে ইটভাটার চিমনি ও কিলন ভেঙ্গে অকেজো করা হয়।
অবৈধভাবে ইট প্রস্তুত, পরিবেশগত ছাড়পত্র না থাকা, নিষিদ্ধ এলাকায় ইটভাটা স্থাপন এবং মাটি কাটার অপরাধে ২ লাখ টাকা করে মোট ৪ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
ইউএনও ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুরাইয়া আক্তার লাকী বলেন, “পরিবেশ ও ফসলি জমি রক্ষায় আমরা অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করছি। নিয়মিত মনিটরিংয়ের মাধ্যমে এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।”
জেলার পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মিহির লাল সরদার জানিয়েছেন, নোয়াখালী জেলায় ১১২টি বৈধ ইটভাটা থাকলেও অবৈধ ইটভাটার সংখ্যা অন্তত ৪১টি। তবে স্থানীয়দের দাবি, জেলায় শতাধিক অবৈধ ইটভাটা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
অভিযানে অংশ নেওয়া কর্মকর্তারা জানান, এসব ভাটায় ফসলি জমির টপ সয়েল কেটে ইট তৈরিতে ব্যবহার করা হচ্ছে। একইসঙ্গে কাঠ পোড়ানো, শিশু শ্রম এবং স্থানীয় রাস্তা ধ্বংসের মতো কর্মকাণ্ড চালানো হচ্ছে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মিহির লাল সরদার বলেন, “পরিবেশের ক্ষতি রোধে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। আইন অনুযায়ী অবৈধ ভাটাগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
নোয়াখালীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অবৈধ ইটভাটা পরিবেশের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। নিয়মিত অভিযান এবং সচেতনতার মাধ্যমেই এ সংকটের সমাধান সম্ভব।


